জাতীয়

যাত্রীদের চাপে ফেরি ছাড়ল, অপেক্ষায় এখনো হাজারো মানুষ

(Last Updated On: মে ৮, ২০২১)

দিনের বেলায় মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধের থাকার সিদ্ধান্ত হলেও তা মানা হচ্ছে না। কুঞ্জলতা নামে একটি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে ঘাটে রয়েছে ঘরমুখী যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ। ফলে যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলে ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, ফেরি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলেও ঘাটে যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ। ফলে যাত্রীদের রোষানলে পড়ে ফেরি চালাতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

এ প্রসঙ্গে শিমুলিয়া ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) হিলাল উদ্দিন বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার রাত ৩টা থেকে শিমুলিয়া ঘাটে সব ধরনের ফেরি পারাপার বন্ধ আছে। ফেরি কুঞ্জলতা সকাল ৮টা ১০ মিনিটে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে ৫টি অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশের দুটি পিকআপভ্যান ও ৫ শতাধিক যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে আসে। ওই ফেরিতে যাত্রীরা ওঠেন। পরে ফেরিটি ঘাট এলাকায় সকাল ৮টা পর্যন্ত নোঙর করে রাখা হয়। এ সময় ফেরি বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। যাত্রীদের রোষানলে পড়েন ঘাট কর্তৃপক্ষের লোকজন।’

তিনি বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুসারে সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে ফেরি কুঞ্জলতায় যাত্রীবোঝাই করে মাদারীপুর ঘাটে পাঠানো হয়। তবে এমন অবস্থা সারা দিন চলতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করেন। তিনি বলেন, ‘শিমুলিয়া ঘাটে এখনো ৪ শতাধিক ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান এবং ৭টি অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের অপেক্ষায় আছে। ব্যক্তিগত ছোট গাড়িও আছে। ১০ হাজারের বেশি যাত্রী ঘাটে পার হওয়ার জন্য জড়ো হয়েছেন।’

এ বিষয়ে শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম বেলা বলেন, ‘এই মুহূর্তে ঘাটে যাত্রীদের ও যানবাহনের চাপ রয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সের জন্য একটি ফেরি সচল আছে। ঘাটের যাত্রীদের কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ঘাটের পরিস্থিতি কীভাবে স্বাভাবিক করা যায়, সেই লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিসির লোকজন সভায় বসেছেন।’

এর আগে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গতকাল শুক্রবার মধ্য রাতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) জানায়, আজ শনিবার থেকে শিমু‌লিয়া-বাংলাবাজার ও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে দিনের বেলায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে শুধু রাতের বেলায় পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারের জন্য ফেরি চলাচল করতে পারবে।