প্রধান পাতা

রায়হান হত্যা মামলা : এসআই আকবরসহ অভিযুক্ত ৬

(Last Updated On: মে ৫, ২০২১)

সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহতের ঘটনার সাত মাস পর রায়হান আহমদ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ বুধবার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আকবরসহ ৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সংস্থাটি।

রায়হান হত্যায় এসআই আকবর ছাড়া অন্য অভিযুক্তরা হলেন- সহকারী উপপরিদর্শক আশেকে এলাহী ও হাসান উ‌দ্দিন, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ ও টিটু চন্দ্র দাস এবং সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান। এর মধ্যে নোমান পলাতক; অন্যরা কারাগারে।

আদালত পুলিশের প্রসিকিউশন শাখার কাছে বুধবার বেলা ১১টার দিকে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে বলে জানান পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) খালেদ-উজ জামান। তিনি জানান, পুলিশের প্রসিকিউশন শাখার কর্মকর্তারা এটি ভার্চ্যুয়াল আদালতে উপস্থাপন করবেন। অভিযোগপত্রের বিষয়ে বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনও করা হবে বলে তিনি জানান।

গত বছরের ১০ অক্টোবর গভীর রাতে সিলেট নগরীর আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে কাষ্টঘর এলাকা থেকে ধরে নিয়ে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করেন ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ পুলিশ সদস্যরা। পরদিন সকালে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রায়হানের লাশ পাওয়া যায়।

রায়হান হত্যার পরদিন তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার প্রধান অভিযুক্ত বন্দরবাজার ফাঁড়ির এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এদিকে, হত্যা মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয়ার দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে বিভিন্ন সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে রায়হানের পরিবার। অভিযোগপত্র প্রস্তুত হয়ে গেছে বলেও প্রায় এক মাস পার করে দিয়েছে পিবিআই। এ ব্যাপারে এসপি খালেদ বলেন, অভিযোগপত্রে যেন কোনো খুঁত না থাকে, তদন্ত নিয়ে যেন প্রশ্ন না ওঠে, সে জন্য তদন্তে সবগুলো দিক খতিয়ে দেখা হয়েছে। আলোচিত এ মামলার আসামি পুলিশ হওয়ায় একটি নির্ভুল, ত্রুটিমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য অভিযোগপত্র তৈরি করতে কিছুটা সময় লেগেছে। এছাড়া করোনার বিরূপ পরিস্থিতির কারণেও দেরি হয়েছে।

রায়হান হত্যা মামলার তদন্ত শেষে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে অভিযোগপত্র দিতে নির্দেশ দেয় আদালত। তবে এ সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ না হওয়ায় সময় বাড়াতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. আব্দুল মুমিনের আদালতে আবেদন করে পিবিআই। ১৪ ফেব্রুয়ারি শুনানির পর আদালত ৩০ কার্যদিবস সময় বাড়ায়। এরপর করোনা পরিস্থিতির কারণে অভিযোগপত্র জমা দেয়ার সময় পেছাতে থাকে বলে জানায় পিবিআই।