শিক্ষা

সাত কলেজের পরীক্ষার সিদ্ধান্ত আজ


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সাতটি বড় সরকারি কলেজের পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মঙ্গলবার সভা ডেকেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা তিনটায় সাত কলেজের অধ্যক্ষ ও সংশ্লিষ্ট তিনজন ডিনকে নিয়ে এই সভা হওয়ার কথা রয়েছে বলে সোমবার রাতে সাংবাদিককে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এস মাকসুদ কামাল। তিনি সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন।


এর আগে সোমবার বেলা সোয়া দুইটায় অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর ২৪ মে থেকে দেশের সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে।

তার আগে ১৭ মে আবাসিক হলগুলো খুলবে। তবে হলের ওঠার আগেই আবাসিক শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকা নিতে হবে। আর খোলার আগে কোনো পরীক্ষা হবে না। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা ও হল খোলার ঘোষণা দিয়েছিল, সেই সিদ্ধান্তও বাতিল হবে। অবশ্য অনলাইনে ক্লাস চলবে।

সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এএসএস মাকসুদ কামাল গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এই ঘোষণার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের চলমান পরীক্ষাগুলো পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করেছে। এ অবস্থায় সাত কলেজের পরীক্ষার কী হবে, সে বিষয়টি সামনে আসে।

সাত কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত (ফোকাল পয়েন্ট) ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার পর নিশ্চয়ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয় ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এগুলোতে মোট শিক্ষার্থী প্রায় দুই লাখ।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর চাপ কমিয়ে শিক্ষার মান বাড়াতে কলেজগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হলেও এখনো সমস্যাগুলো দূর হয়নি।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, কলেজগুলোর বড় সমস্যা হলো ঠিক সময়ে পরীক্ষা না নেওয়া এবং দেরিতে ফল প্রকাশ করা। এই সমস্যা নিরসনের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।