প্রধান পাতা

১৫ হাজার টাকায় করোনা নেগেটিভ সনদ !


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

রাজশাহীতে ঘরে বসেই তৈরি করা হতো করোনা থেকে মুক্তির জাল সনদ। সেই সনদ বিক্রি হতো চড়া দামে।

আর সরকারি বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের জন্য দাম দিয়ে সেই করোনা সনদ কিনতেন এক শ্রেণির মানুষ।

এর মধ্যে বিদেশগামী মানুষের সংখ্যাই তুলনামূলক বেশি। তবে শেষ পর্যন্ত এই চক্রের তিন সদস্য রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের পাতা জালে ধরা পড়েছে। এর মধ্যে খোদ রাজশাহী সিভিল সার্জন কার্যালয়েরও একজন কর্মচারী রয়েছেন! দ্বিতীয়জন সরকারি বক্ষব্যাধি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক। অপরজন ওই চালকের স্ত্রী।  

তাদের কাছ থেকে বেশকিছু জাল করোনা সনদসহ আলামত হিসেবে প্রয়োজনীয় ভুয়া কাগজপত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে তাদের সাংবাদিকদের মুখোমুখি করা হয়।

আটকরা হলেন- রাজশাহী সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহায়ক তারেক আহসান (৪১), তার সহযোগী রাজশাহী বক্ষব্যাধি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক রফিকুল ইসলাম (৪২) ও তার স্ত্রী সামসুন্নাহার শিখা (৩৮)।

রাজশাহী মহানগর ডিবি কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংকালে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আরেফিন জুয়েল সাংবাদিকদের বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ জানতে পারে একটি চক্র বিদেশগামী মানুষদের কাছে চড়া দামে করোনা সনদ বিক্রি করছে। জাল করোনা সনদ দিয়ে এই চক্রটি বিদেশগামী মানুষদের থেকে তিন হাজার থেকে ১৫ হাজার পর্যন্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। করোনা পরীক্ষার সনদে তারা প্রত্যাশীর নাম-ঠিকানা লিখে নেগেটিভ হওয়ার সনদ বানিয়ে দিচ্ছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া অনেক কাগজপত্রে দেখা গেছে তারা রাজশাহী সিভিল সার্জনের স্বাক্ষর পর্যন্ত জাল করেছে!

রাজশাহী মহানগর ডিবি পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আরেফিন জুয়েল জানান, এই জাল করোনা সনদ তৈরি চক্রটির মূলহোতা ছিলেন তারেক আহসান। তার সহযোগী রফিকুল ইসলাম। এই দু’জন করোনা নমুনা পরীক্ষা করা মানুষগুলোর তালিকা সংগ্রহ করতেন। এর পরে টাকার দেন-দরবার করতেন রাকিবের স্ত্রী সামসুন্নাহার শিখা। তিনি করোনার নমুনা দেওয়া মানুষগুলোকে ফোন করে বলতেন- আপনার করোনার রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে। টাকা দিলে নেগেটিভ করে দেওয়া হবে।

এ নিয়ে বিভিন্ন জনের সঙ্গে টাকার বিষয়টি মেলাতেন তিনি। পরে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের মাধ্যেমে টাকা নিতেন তিনি।

যেসব বিদেশগামী মানুষ করোনার নমুনা দিতেন, তাদের মাত্র ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা সময় থাকে কাগজপত্র জমা দেওয়ার। তাই তারা বেশি চাপে থাকতেন। আর মোক্ষম এই সুযোগটি কাজে লাগাতো এই চক্রটি। চক্রটি গত চার মাস থেকে করোনা সনদের এই অভিনব প্রতারণা চালিয়ে বিদেশগামী মানুষদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

ডিবির উপ-কমিশনার আরেফিন জুয়েল আরও জানান, চক্রটির কাছ থেকে ১০০টি করোনা নমুনার জাল সনদ উদ্ধার করা হয়েছে। এই কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা আরও তিন থেকে চারজন বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।  

এছাড়া গ্রেফতারদের বিকেলের মধ্যে কারাগারে পাঠানো হবে বলেও  জানান ডিবির এই পুলিশ কর্মকর্তা।