সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতারা ছুটে এসেছেন বাংলা একাডেমিস্থ অমর একুশে বইমেলায়। কিন্তু করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারিভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনার পরও তা মানতে দেখা যায়নি আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের। শুক্রবার (২ এপ্রিল) বিকাল থেকে মেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত এমন চিত্রই ফুটে ওঠে।
বইমেলা ঘুরে দেখা গেছে, মেলার বাংলা একাডেমি অংশে ক্রতা বা দর্শনার্থীর উপস্থিতি কম। ফলে অলস সময় কাটাচ্ছেন বিক্রেতারা। তবে চারপাশজুড়ে তরুণ-তরুণীদের ছবি তোলার মেজাজে দেখা গেছে।
পরে মেলার আরেক অংশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা গেছে, এখানে সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় সংক্রমণের ভীতি উপেক্ষা করে অসংখ্য ক্রেতাসমাগম হয়েছে। তাদের কেউ পরিবারসহ কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। কেউ কেউ বই কিনছেন, কেউ ঘুরে ঘুরে দেখছেন, আবার কেউবা বই কেনা শেষে রোদের তাপ থেকে রক্ষা পেতে উদ্যানের ছায়ায় জিরিয়ে নিচ্ছেন।
এ দিন পুরুষের মধ্যে অনেকেই পরেছেন পাঞ্জাবি। আর নারীরা আছেন শাড়ি, চুড়ি, মাথায় ফুল সাজিয়ে উৎসবের আমেজে।
তবে মেলার মধ্যে মাইকে বারবার ভেসে আসছিল সতর্ক বার্তা। সবাইকে মাস্ক পরিধান করে মেলাতে অবস্থান করতে অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে নতুন বইয়ের খবর। তবে আগত ক্রেতারা নাছড়বান্দা। তাই কোনোরকম সামাজিক দূরত্ব না মেনে স্টলে স্টলে ভিড় করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী শামিম রহমান জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ঘরে বসে জমে যাচ্ছি। তাই সুযোগ পেলেই বন্ধুদের নিয়ে বইমেলায় আসছি। সরকারের নির্দেশনা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই তা মেনে চলা ভুলে যাচ্ছি।
বান্ধবীদের সঙ্গে বইমেলাতে আসা সায়মা ইয়াসমিন বলেন, ‘বইমেলার পরিবেশ অনেক সুন্দর। তাই বান্ধবীদের সঙ্গে বসে গল্প করছি। বইও কিনেছি একটি। কিন্তু করোনার ভয়ে পছন্দের কিছু স্টলে ভিড় থাকায় দূরেই বসে আছি।’
কথা প্রকাশের স্টলের ইনচার্জ এসএম ইউনুস বলেন, ‘আজ সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় দর্শনার্থী কম, তবে ক্রেতা বেশি। আমরা স্টলে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সতর্ক করেছি। সে কারণে কোনও ক্রেতা মাস্ক ছাড়া হাজির হলে আমরা বিনামূল্যে মাস্ক সরবরাহ করছি। তবে ক্রেতাদের অনেকেই দূরত্ম বজায় রাখছেন না।’