স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি নথি হারানোর ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।
বিষয়টি তদন্তে মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগে রোববার (৩১ অক্টোবর) সকালে সচিবালয়ে যায় ‘সিআইডি ক্রাইম সিন’। তারা সচিবালয় তিন নম্বর ভবনের নিচতলার ২৪ নম্বর কক্ষে (এ কক্ষ থেকে ফাইল চুরি হয়েছে) এসে আলামত সংগ্রহ করেন। এ কক্ষে কর্মরতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডির কর্মকর্তারা। এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিআইডির পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান। সঙ্গে আছে শাহবাগ থানা পুলিশের একটি দল।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই কক্ষের ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দুপুর সোয়া ১টার দিকে একটি মাইক্রোবাসে করে সিআইডি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
কক্ষটির সঙ্গে লাগোয়া একটি কক্ষে স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. শাহাদাৎ হোসাইন বসেন। এছাড়া এখানে স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্মসচিব (প্রশাসন) কাজী আনোয়ার হোসেনসহ বসেন কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
সিআইডির পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে একটি ঘটনা ঘটেছে। মামলা হয়নি, সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। আমাদেরকে বলা হয়েছে, আমরা যেন ছায়া তদন্ত করি।’
তিনি বলেন, ‘সিআইডির টিম ছায়া তদন্তের অংশ হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এসেছে। এটা তদন্তের একটি অংশ। পরবর্তীতে হয়তো আরও বিস্তারিত বলতে পারবো।’
এদিকে, নথি গায়েবের ঘটনায় মন্ত্রণালয়টির অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. শাহ্ আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন—মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা) মো. আহসান কবীর এবং উপসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) মোহাম্মদ আবদুল কাদের। আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে এ কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
(Last Updated On: )