জাতীয়

মাটি দিয়ে শহীদ মিনার ঢেকে ফেলেছে ঠিকাদার

(Last Updated On: )

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার উত্তর ঘাগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাটির স্তুপে দিয়ে ঢেকে ফেলেছে। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রর্দশনের নির্মিত শহীদ মিনার ও শহীদ মিনার প্রাঙ্গন এলাকা মাটির স্তুপ দিয়ে ঢেকে দেওয়ায় এলাকাবাসী, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা গেছে, উপজেলার ঘাগড়া গ্রামে উত্তর ঘাগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপিত শহীদ মিনারে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসে স্থানীয় গ্রামবাসী, বিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলী, ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক ও আশেপাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রর্দশন করে। শহীদ মিনারের পাশেই এলজিইডির তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়ের একটি নতুন ভবন তৈরী হচ্ছে। বিদ্যালয়ের নির্মানাধীন ভবনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স শওকত হায়াত খান শহীদ মিনারটির শহীদ বেদীসহ শহীদ মিনার এলাকা গত দুই মাস আগে মাটির বড় স্তুপ দিয়ে ঢেকে ফেলেছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মাটি রাখার স্থান হিসেবে শহীদ মিনারটিকে বেছে নেওয়ায় এবং শহীদ মিনার এলাকা থেকে মাটি পরিস্কার না করায় এ বছর মহান আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসে এ শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রর্দশনের কোনো ব্যবস্থা থাকল না।

ঘাগড়া গ্রামের বাসিন্দা জামাল উদ্দিন (৬২) বলেন, বায়ান্নর ভাষা আন্দালনের মাধ্যমে স্বাধিনতা যুদ্ধের প্রথম অংকুর রোপিত হয়েছিল । ভাষা শহীদদের যথাযথ মর্যাদা দিতে বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মান করা হয়। শহীদ মিনারে মাটির স্তুপ দেওয়া এবং মাটির স্তুপ দিয়ে শহীদ মিনার ঢেকে দিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ধৃষ্টতা দেখিয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা বেগম জানান, এলাকাবাসী মাটি সরিয়ে নিতে চেয়েছিল। পরে মাটির প্রয়োজন হবে অজুহাত দেখিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন মাটি এখানে রেখে দেয়।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স শওকত হায়াত খানের স্বত্বাধিকারি শওকত হায়াত খান বলেন, শ্রমিকরা ভুল করে এখানে মাটি রেখেছিল। দ্রুত শহীদ মিনার থেকে মাটি সরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন বলেন, এ রকম হওয়ার কথা না । ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত মাটি সরানোর জন্য বলা হবে। শহীদ মিনার এলাকা থেকে মাটি না সরালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।