জাতীয়

যাত্রী নিয়ে ডোবায় অ্যাম্বুলেন্স, মামা-ভাগ্নে নিহত

(Last Updated On: )

মানিকগঞ্জ-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক সড়কের মিতরা এলাকায় ফরিদপুরগামী একটি অ্যাম্বুলেন্স উল্টে খাদে পড়ে মামা-ভাগিনার মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (৩০ অক্টোবর) ভোরের দিকে মিতরা এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা হলেন- ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার পিলারচর এলাকার শাহিন প্রামানিক ও তার ভাগিনা রফিক খান।

মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডিউটিম্যান ইমরান শিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দিবাগত রাতে গাবতলি বাস টার্মিনাল থেকে ফরিপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে একটি অ্যাম্বুলেন্স। রাত ৩টার দিকে মিতরা এলাকার কালীবাড়ী মোড়ে আসা মাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের জলাশয়ে ডুবে যায়।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সূত্র মতে, দুর্ঘটনার সময় অ্যাম্বুলেন্সটিতে চালক ও তার সহকারীসহ মোট সাত আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে পাঁচজন তৎক্ষণিক বেড়িয়ে আসতে পারলেও পেছনের সিটে থাকা দুই যাত্রী গাড়ির ভিতরে আটকা পড়ে পানিতে ডুবে মারা যান।

দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে খবর দেয়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পানির নিচে ডুবে থাকা গাড়ির ভিতর থেকে আটকেপড়া দুই যাত্রীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্সের এক যাত্রী বলেন, রাত ২টার দিকে আমাদের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে যাবার জন্য গাবতলী টার্মিনালে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কোনো যানবাহন পাচ্ছিলাম না; তখন একজন দালালের মাধ্যমে এই অ্যাম্বুলেন্সটিতে বাড়ি ফেরার জন্য উঠি। অ্যাম্বুল্যান্সটিতে চালক ও তার সহকারীসহ মোট সাতজন ছিলাম। গাড়িটি হঠাৎ রাস্তা থেকে পানির মধ্যে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে চালক আর তার সহকারী বের হয়ে যায়। আমরা বাকি যে তিনজন বেঁচে গেছি আমাদের সবার বাড়ি ফরিদপুরে।

তিনি আরো বলেন, আমরা তিনজন অ্যাম্বুলেন্সটিতে ওঠার আগেই নিহত ওই দুজন গাড়িতে ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় আমাদের সিটের পাশের জানালা খোলা ছিল বিধায় আমরা তিনজন গাড়ি ডুবে যাওয়ার আগেই বেড়িয়ে আসতে সক্ষম হই। যে দুজন মারা গেছেন; উনাদের সিটবেল্ট বাঁধা ছিল তাই ওনারা চেষ্টা করেও বের হতে পারেননি।