বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। রোববার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংগঠনটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান রিদয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ সহ কেন্দ্রীয়, বিশ্ববিদ্যালয়, মহানগর ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করছি। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল মুক্তিকামী বাঙালির বহুল প্রতীক্ষিত, আকাঙ্ক্ষিত, বহুদিনের লালিত স্বপ্ন এবং এক ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণ। জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে অধীর আগ্রহে অপেক্ষারত লাখ লাখ বাঙালি সেদিন আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছিলেন প্রিয় নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ফিরে পেয়ে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে সেদিন পূর্ণতা পায় আমাদের স্বাধীনতা।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণা। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা আমাদের অভিভাবক দেশরত্ন শেখ হাসিনা জাতির পিতার স্বপ্নের দেশ গড়ার কাজে আত্ননিয়োগ করেছেন এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সমৃদ্ধির দিকে। জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পথচলা অব্যাহত থাকবে।’
সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছিল বাঙালি জাতি। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অকুতোভয় নেতৃত্বে বাঙালি জাতি বিজয় অর্জনের পরও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছিল সবার মনে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিজয় সূচিত হলেও বঙ্গবন্ধু ফিরে না আসায় স্বাধীনতা তখনো অপূর্ণ ছিল এবং বাঙালি জাতির সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন স্বাধীনতার আনন্দকে পরিপূর্ণ করে তোলে, গগন বিদারী স্লোগানে স্লোগানে বাংলাদেশের আকাশ বাতাস মুখরিত করে স্বাগত জানায়, স্বজন হারানো বাঙালি জাতি ফিরে পায় আত্মবিশ্বাস এবং বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি ফিরে পায় নতুন করে অগ্রসর হওয়ার প্রেরণা।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাঙালি জাতিকে আলোর পথে নিয়ে যাওয়ার হাল ধরেছেন। তাঁর হাত ধরে বাংলা, বাঙালি জাতি আর বাংলাদেশ অন্ধকার থেকে আলোর পথে পাড়ি দিচ্ছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাতির পিতার নির্দেশিত পথে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাবে।’