বাংলার স্বাধীকার আন্দোলনে নিবেদিত প্রান মুক্তিযুদ্ধের বৃহৎ অংশে রয়েছে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ নাম শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে অসীম সাহসে বীর বিক্রমে বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীলের খোকার দোকান এলাকায় অদম্য স্পৃহা নিয়ে পাকবাহিনীর ওপর গ্রেনেড ছুড়ে মেরেছিলেন। ওইদিন পাকবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন এখলাছ। সেই সংগ্রামী বীর মুক্তিযোদ্ধা ৭১ সালের ৪ আগস্ট পাকবাহিনীর হাতে শহীদ হন। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়নের আকুবদনডী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন অকুতোভয় বীরোচিত আত্মত্যাগী এখলাছ।
এই ঐতিহাসিক ঘঠনার বর্ননা দেন তাঁহার সহযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা পীযুষ কান্তি চৌধুরী স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রথম প্রহরে পাকিস্তানিদের পুড়িয়ে দেওয়া খোকার দোকানের খালি ভিটায় অগ্রনী যোদ্ধা চরম সাহসিকতা নিয়ে শত্রু মোকাবেলা করেন। পাক আর্মি ও তাদের দোসররা কাছাকাছি আসলে এখলাছ গ্রেনেড চার্জ করেন।তবে শেষতক ধরা পড়েন।চলে পাশবিক নির্যাতন। চাপসৃষ্টি করা হয় পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলতে জবাবে এখলাছ আহত শরীরের থেকে নির্গত প্রবাহিত রক্ত দিয়ে মাটিতে লিখে দেন জয়বাংলা। এভাবেই তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বাধিক আলোচিত বোয়ালখালীর প্রথম শহিদ এ বীরের।
স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী অতিক্রান্ত হলেও শহীদের জননী তাঁহার নাতি (আবেদন কারী)মোজাম্মেল হক এরশাদ দিয়ে আবেদন করেছিলেন অদৃশ্য জটিলতায় স্বীকৃতি না পাওয়ার যন্ত্রণা বুকে নিয়ে পরপারে চলে যান। প্রয়াত সাংসদ মরহুম মঈন উদ্দিন খান বাদল ও মোসলেম উদ্দিনের সুপারিশ ক্রমে ,২০২০ সালের ৭ই অক্টোবর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে শহিদ পরিবারের স্বীকৃতির আবেদনকারী শহিদের ভাগিনা মোঃ মোজাম্মেল হক এরশাদ পরিবারের জীবিত সদস্য দের প্রদত্ত দলিল,ইউপি চেয়ারম্যান কতৃক প্রত্যয়ন,মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের রিকোয়ারমেন্ট অনুসারে প্রবাস থেকে কুয়েত এম্বাসাডর স্বাক্ষরিত স্বারকে ক্ষমতা অর্পণ পএের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা পএ দাখিল করা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় গেজেট অন্তর্ভুক্তির জন্য সাক্ষাৎকারের পর ২০২১ সালের ২৭ শে জুন বেসামরিক শহীদ গেজেটেড করা হয়। সকল প্রকার কার্যক্রম সম্পন্ন হলেও আজো অদৃশ্য জটিলতা,টানাপোড়েনে আটকে আছে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে।