রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ফজলে হোসেন বাদশাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ফজলে হোসেন বাদশার কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। এ সময় তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।
এর আগে গতকাল শনিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালেরে সামনে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মানববন্ধনে বক্তব্য দেন এমপি ফজলে হোসেন বাদশা।
সেখানে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পক্ষ নিয়ে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘আমরা হাসপাতালের পক্ষ থেকে বলতে চাই, এটা প্রমাণিত যে ছেলেটি মারা গেছে। শাহরিয়ারকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তার পালস ছিল না এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে। এ জন্য কোনো ডাক্তারের আর নতুন সার্টিফিকেট দেওয়ার দরকার নেই। হত্যা করে আপনারা এনেছিলেন। আর পরিবারকে হুমকি দিয়ে আপনারাই ডেডবডি নিয়ে গেছেন। ইউথ আউট পোস্টমার্টেম। আমরা হাসপাতালের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করেছি। আমরা চাই যে পোস্টমর্টেম হোক, কবর থেকে ডেটবডি তুলে পোস্টমার্টেম করা হোক।’
বক্তব্যের প্রতিবাদে রাবি শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফজলে হোসেন বাদশাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এ জন্য তাকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাত ৮টার দিকে রাবির শহীদ হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে এম জি এম শাহরিয়ার নামের এক ছাত্র গুরুতর আহত হন। পরে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তার মৃত্যু হয়।
শাহরিয়ারের সহপাঠীদের অভিযোগ, শারিয়ারকে চিকিৎসা দিতে কালক্ষেপণ করেছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসা না পেয়ে তিনি মারা গেছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রামেক হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডের সামনে ও পরিচালক কক্ষের সামনে ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় ইন্টার্ন চিকিৎসক, হাসপাতাল স্টাফরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। হামলায় ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।