কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানসহ বেড়াতে যাওয়া পর্যটককে ধর্ষণের মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ রোববার দুপুরে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। পরে এ ব্যাপারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২২ ডিসেম্বর সকালে স্বামী-সন্তানসহ ঢাকা থেকে কক্সবাজারে পৌঁছেন ওই নারী। ওঠেন শহরের হলিডে মোড়ের একটি পাঁচতলা হোটেলে। ওইদিন বিকেলে স্বামী-সন্তানকে নিয়ে লাবণী বিচে যান। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়।
এ সময় আরেকটি সিএনজি অটোরিকশায় ওই নারীকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তারা। এরপর তাকে জিয়া গেস্ট ইনে আবার ধর্ষণ করে ওই তিন যুবক। আর সেই ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। পরে র্যাব এসে তাকে উদ্ধার করে।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার সদর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভিকটিমের স্বামী। আলোচিত এ মামলার আসামিরা হলেন- আশিকুর রহমান ও তার তিন সহযোগী ইস্রাফিল হুদা ওরফে জয়, মেহেদী হাসান ওরফে বাবু এবং হোটেল ম্যানেজার রিয়াজুদ্দিন ছোটন। এদের মধ্যে আশিকের নামে কক্সবাজার সদর থানায় অস্ত্র, মাদক, নারী নির্যাতন ও চাঁদাবাজিসহ ১৭টি এবং জয়ের নামে দুটি মামলা রয়েছে। মামলার তদন্ত করছে টুরিস্ট পুলিশ।