বাঁশখালীর মোহাম্মদ আশির (২২) ক্ষুদে বিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন এলাকায়। ইতোমধ্যে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান, ইউএস বাংলা যাত্রীবাহী বিমান, বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনার, হেলিকপ্টার, ড্রোন ও ইঞ্জিনচালিত ট্রলার আবিষ্কার করেছেন তিনি।
২০১৭ সালে ঢাকা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর হতে ২০ হাজার টাকা আর্থিক প্রণোদনা পাওয়ার পর কর্মক্ষেত্রে আরও উৎসাহ সৃষ্টি হয় আশিরের। এলাকাবাসীর পক্ষে ইউপি সদস্য আবুল কাশেম জানান, সরকারি সহযোগিতা নিয়ে বড় ধরনের গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন হলে অনেক কিছু আবিষ্কার করা সম্ভব হবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পুইছড়ি ইজ্জতিয়া স্কুল এলাকায় তার তৈরি করা বিমান উড্ডয়নের প্রদর্শনীতে হাজার দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে।
পুইছড়ি ইজ্জতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি পাশ করার পর বহদ্দারহাটে একটি বেসরকারি পলিটেকনিক ইউনিস্টিউটে ভর্তি হন ইলেকট্রিক্যাল বিভাগে। বর্তমানে তৃতীয় সেমিস্টারে অধ্যয়নরত আশির। আশিরের পিতা পুইছড়ি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন জানান, ছোটবেলা থেকেই নিজেকে আলাদা করে রাখত আশির। বন্ধুমহল খেলার মাঠে থাকলেও আশির থাকত বিজ্ঞানের জগতে, আবিষ্কারের রাজ্যে। ক্ষুদে বিজ্ঞানী আশির জানান, ইলেকট্রনিক ইঞ্জিন বা যন্ত্রপাতি দেখলেই দেশের জন্য কিছু আবিষ্কার করার ইচ্ছা পোষণ করতে থাকি।
ড্রোন এর যন্ত্রপাতি দিয়ে ইলেকট্রিক মোটর, কার্ড বোর্ড ডেসট্রোজ, কার্বন ফাইবার, তার ১২ ভোল্ট লিথিয়াম ব্যাটারির সাহায্যে বিমান, ড্রোন, ইঞ্জিন বোট উদ্ভাবন করি। রিমোট কন্ট্রোল স্কুইজ উড্ডয়ন ও নামানো নিয়ন্ত্রণ করে। তিনি বলেন, আড়াই কিলোমিটার ঘণ্টায় এই বিমান চলাচল করে।
২ কিলোমিটার পর্যন্ত উড্ডয়ন করতে পারে। হাতের স্টিক দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। বিমানটির ওজন ৩ কেজি। নিজস্ব একটি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এই ল্যাব থেকে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে সংযোজনের মাধ্যমে বিমানসহ বিভিন্ন কিছু উড্ডয়নের ব্যবস্থা চলছে। এ কাজে সরকারের সহায়তা কামনা করেন ক্ষুদে বিজ্ঞানী আশির।