কাল বৃহস্পতিবার থেকে চট্টগ্রামে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে টিকার প্রথম ডোজ কার্যক্রম। এই পর্যন্ত নগর ও উপজেলা মিলে ২৪ লাখের মতো নিবন্ধনের বিপরীতে টিকা নিয়েছেন ১২ লাখ মানুষ। এখনো প্রায় ১২লাখ মানুষ টিকার প্রথম ডোজের অপেক্ষায়। এর মধ্যে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকায় ঝুলে আছে নিবন্ধনকৃত বাকী ১২লাখ টিকা প্রার্থীর ভাগ্য। এছাড়াও শঙ্কা রয়েছে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েও।
আজ বুধবার (১১আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
সিভিল সার্জনের সূত্র মতে, মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত টিকা নিতে অনলাইনে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করেছেন চট্টগ্রামের মোট ২৩ লাখ ৯০ হাজার ৭৫৪ জন। এরমধ্যে উপজেলা থেকে নিবন্ধন করেছে ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৭৩৪ জন। সিটি কর্পোরেশন(চসিক) এলাকা থেকে ১০ লাখ ৫০ হাজার ২০ জন। এর মধ্যে প্রায় ১২ লাখের কাছাকাছি মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। বাকি ১২ লাখের মতো মানুষের টিকা ভাগ্য নির্ভর করছে যোগানের উপর।
এদিকে, সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ হতে গত বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) থেকে প্রথম ডোজের টিকা প্রদান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে এখন যারা প্রথম ডোজের জন্য নিবন্ধন করবেন তারা টিকা নিতে পারবেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকা প্রয়োগ নিয়ে যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে এমন বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। এক্ষেত্রে টিকা মজুত না করে গড়ে টিকা না দেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, “ইতোমধ্যে প্রায় ২৪ লাখ মানুষ টিকার জন্য অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন। যোগান না থাকায় তাদের প্রথম ডোজের টিকা দেয়া যাচ্ছেনা। দ্বিতীয় ডোজের জন্যও ‘মডার্না’ আমাদের হাতে একেবারেই নেই। ঢাকা থেকে আসলে আমরা দ্বিতীয় ডোজ দিতে পারবো। তবে চসিকের কাছে কিছু সংখ্যাক ‘মডার্না’ থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, কিছু সিনোফার্ম ভ্যাকসিন মজুত আছে। এদিকে প্রথম ডোজের টিকা দেয়া বন্ধ করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ হতে বলা হয়েছে।এই অবস্থায় আমরা দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদান অব্যাহত রেখেছি। নতুন যারা আবেদন করেছেন তারা টিকার সরবরাহ হলেই টিকা নিতে পারবেন। এই জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হবে।”