প্রধান পাতা

চার বছর পর বোয়ালখালীতে নিখোঁজ ছেলের সন্ধান পেল মা

(Last Updated On: )

চার বছর পর বোয়ালখালীতে নিখোঁজ মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলের সন্ধান পেল মা । ২০১৭ সালে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌরসভা এলাকা থেকে নিখোঁজ হন বাদল মিয়া (২৬) । অনেক খোঁজাখুজির পর ছেলেকে না পেয়ে আশাই ছেলে দিয়েছিল বাদলের পরিবার । আজ সকালে বোয়ালখালী হাসপাতালে ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন বাদল মিয়ার মা শায়েরা বেগম ।

বাদল মিয়া (২৬) ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌরসভারমরা পুকুর পাড় এলাকার মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে । ২ ছেলে ১ মেয়ের মধ্যে বাদল বড়। বাদল ২০১২ সালে কসবা টি আলী ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচ এস সি পাস করেন । একই বছর পিতাকে হারিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে পরিবার টি । ২০১৩ সালের শেষের দিকে মানসিক ভারসাম্য হারান বাদল মিয়া । এসময় ২ বার নিখোঁজ হন তিনি । প্রথম বার ৯ দিন পর , ২য় বার ৭ দিন পর তারঁ খোজ পাওয়া গেলেও সর্বশেষ ২০১৭ সালে নিখোঁজ হলে চার বছর ধরে কোন হদিস পায়নি তার পরিবার । গত ১০/১২ দিন ধরে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভার পশ্চিম কধুরখীল রিভারভিউ এলাকায় ঘুরাঘুরি করতে দেখে স্থানীয়রা ।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারী বৃহষ্পতিবার দুপুরে উপজেলার কধুরখীল রিভার ভিউ এলাকা থেকে বোয়ালখালী থানার সেকেন্ড অফিসার জাহাঙ্গীর আল আমান বেওয়ারিশ এই মানসিক প্রতিবন্ধীকে শরীরের নিন্মাংশে পোড়া ক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে বোয়ালখালী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এসময় প্রয়োজনীয় ঔষধ ও কাপড় প্রদান করেন তিনি ।

হাসপাতালে ভর্তির পর বোয়ালখালী নিউজ ডট কমের সম্পাদক আবুল ফজল বাবুল, বোয়ালখালী গাউসিয়া কমিটির স্বেচ্ছাসেবক নাজিম উদ্দিন, ওসমান গনি ও সাইফুল ইসলামের সহায়তায় প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র সরবরাহ, পুষ্ঠিকর খাবার ও পরিচর্যা অব্যাহত রাখেন । এর মধ্যে তাঁর পরিবারের সন্ধান পেতে বোয়ালখালী নিউজ ডট কম এ সংবাদ প্রচার , নাজিম উদ্দিন ও বায়জিদ রাজুর ফেইসবুক স্টেটাস এর মাধ্যমে ২৯ ফেব্রুয়ারী তারঁ পরিবারের পক্ষ থেকে সনাক্ত করা হয় ।

আজ সকালে বোয়ালখালী উপজেলা হাসপাতাল থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জিল্লুর রহমান, থানার সেকেন্ড অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আল আমান,বোয়ালখালী নিউজ ডট কমের সম্পাদক আবুল ফজল বাবুল,বোয়ালখালী গাউসিয়া কমিটির স্বেচ্ছাসেবক নাজিম উদ্দিন, ওসমান গনি ও বায়জিদ রাজু বাদল মিয়াকে তাঁর মা শায়েরা খাতুন, ছোটভাই শাহ আলম,খালা আসমা বেগম ও স্থানীয় আবুল হাসেমের কাছে হস্তান্তর করা হয় । এসময় তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত সকলকে কৃতজ্ঞতা জানান । এরপর গাউছিয়া কমিটির এম্বুলেন্স যোগে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে পৌছে দেয়া হয় ।

রাত ১২ টা ১৯ মিনিটে বাদল মিয়াকে নিয়ে কসবা এলাকায় নিজ বাড়ীতে পৌছান বলে জানান তাঁর ছোট ভাই শাহ আলম।