টাঙ্গাইলের শাখারিয়া নয়াপাড়ার ইমান আলী খানের ছেলে টাকিন খানের সঙ্গে হয়।সিরাজগঞ্জ নিবাসী রুমা খাতুনের (১৮) বিয়ে হয়। কিন্তু হাতে মেহেদির রং শুকানোর আগেই গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন রুমা খাতুন।
এ ঘটনায় স্ত্রী হত্যার প্ররোচণার অভিযোগে নিহতের স্বামী টাকিন খানকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের শাখারিয়া নয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চার মাস আগে সিরাজগঞ্জ নিবাসী রফিকুল ইসলামের মেয়ে রুমা খাতুনের সঙ্গে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের যা উভয়ের ২য় বিয়ে।
রুমার মামা দুলাল হোসেন জানান, বিয়ের পর থেকে স্বামী টাকিন খান যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে সামাজিকভাবে হেয় পতিপন্ন ছাড়াও শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে। পরে দাম্পত্য কলহে ৪ সেপ্টেম্বর টাকিন খান স্ত্রীকে মৌখিক তালাক দিয়ে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ৬ সেপ্টেম্বর টাকিন খান অনুতপ্ত হয়ে শশুরবাড়ী স্ত্রীর কাছে চলে যান।
সেখানে শশুরবাড়ীর লোকেরা মৌলবী দিয়ে পুনরায় তাদের বিয়ে পড়ায়।
পরে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সে শাখারিয়া নিজ বাড়ীতে চলে আসেন। ৮ সেপ্টেম্বর তাদের মাঝে পুনরায় ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার একপর্যায় স্বামী টাকিন খান মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়।
রাতে বাড়ি ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে স্ত্রীকে ডাকতে শুরু করেন। ঘরের ভিতর থেকে কোনো শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে টাকিন খান গৃহে প্রবেশ করে স্ত্রীকে ফাঁসিতে ঝুলতে দেখে। পরে, বাড়ীর লোকজনের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোপালপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশাররফ হোসেন জানান, নিহত রুমার মামা দুলাল হোসেন বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামী করে আত্মহত্যা প্ররোচণার মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ মামলার প্রধান আসামী নিহতের স্বামী টাকিন খানকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মামলার পরবর্তী কার্যক্রম আইনগতভাবে পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।