নিলামে এবার চায়ের দামে শীর্ষে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার কৈয়াছড়া ডলু চা বাগান। এ বাগানে প্রতিকেজি ২৭২ টাকা ৪ পয়সা দরে তিন লাখ ২৫ হাজার ৩২৬ কেজি চা বিক্রি হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার মধুপুর চা বাগান। এ বাগানের পাঁচ লাখ ৬৯ হাজার ৯৬৯ কেজি চা বিক্রি হয়েছে ২৬৮ টাকা ২০ পয়সা কেজি দরে।
২০২১-২২ নিলামবর্ষে অনুষ্ঠিত ২০টি নিলামে চা বিক্রির তথ্য বিশ্লেষণ করে ৩০টি চা বাগানের তালিকা প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল ব্রোকার লিমিটেড। যেখানে প্রথম পাঁচটির মধ্যে চট্টগ্রামের দু’টি বাগান রয়েছে। চায়ের দামের উপর ভিত্তি করে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। নিলামে ১৬৭টি বাগান থেকে উত্তোলিত চা প্রক্রিয়াজাত করে বিক্রি হয়। নিলামে তৃতীয় স্থানে থাকা ক্লেভডন বাগানের চা বিক্রি হয়েছে ২৩৪ টাকা ৮২ পয়সা কেজি দরে। এ বাগান থেকে মোট তিন লাখ ১৯ হাজার ৩২০ কেজি চা বিক্রি হয়েছে। নিলামে চতুর্থ স্থানে রয়েছে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির কর্ণফুলী চা বাগান। এ বাগানের চা বিক্রি হয়েছে ২৩২ টাকা ৫৫ পয়সা কেজি দরে। যেখানে মোট পাঁচ লাখ ৪১ হাজার ৬৮৫ কেজি চা বিক্রি হয়েছে। নিলামে পঞ্চম স্থানে থাকা মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার আমরাইল চা বাগানের দুই লাখ ৯৯ হাজার ৪৪৭ কেজি চা বিক্রি হয়েছে। যা প্রতিকেজি ২২৬ টাকা ২৮ পয়সা দরে বিক্রি হয়েছে।
জানতে চাইলে কৈয়াছড়া ডলু চা বাগানের ব্যবস্থাপক শাফি আহাম্মদ খান বলেন, প্রতি বছর আমরা বিভিন্ন সময়ে সেরা চা বাগানের স্বীকৃতি পাই। আমরা সব সময় চেষ্টা করি বাগানের মান ধরে রাখতে। আমাদের পরিচালক সাইদ বখত মজুমদারের নির্দেশনায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তালিকায় থাকা বাকি ২৫টি চা বাগানগুলো হচ্ছে- ড্রাগন, দিলদারপুর, কোদালা, ডেউন্দি, রত্না, বারামাসিয়া, ডেনস্টন, বালিশেরা, রাজঘাট, আমতলী, ফুলতুল্লা, গাজীপুর, রামগড়, হালদা ভ্যালি, লুয়াইনি এন্ড হলিছড়া, নেপচুন, রাঙ্গাপানি, লস্করপুর, মির্জাপুর, নোয়াপাড়া, লংলা, বাড়াউড়া, রশিদপুর, রেমা এবং জেরিন।