জাতীয়

মোবাইল চুরির অপবাদে গাছে বেঁধে শিশু নির্যাতন

(Last Updated On: )

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে রিফাত (৯) নামে দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ফাতেমা বেগম ও হিমেল নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা দুজন সম্পর্কে মা ও ছেলে। গৌরীপুর থানায় দায়ের হওয়া মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুজন গ্রেপ্তার হন।

গ্রেপ্তার ফাতেমার স্বামীর নাম বারেক ডাকাত (মৃত)। ছেলে ফাহিমকে নিয়ে তিনি উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের একটি গ্রামে বসবাস করেন।

জানা গেছে, গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের মধুবন আদর্শ গ্রামে (গুচ্ছগ্রাম) শিশু নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাটি প্রথমে স্থানীয়দের মাঝে গোপন থাকলেও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা জানাজানি হয়। পরে গৌরীপুর থানার পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ফাতেমা বেগম ও তার ছেলে হিমেলকে আটক করে। পরে রিফাতের বাবা সুরুজ আলী মামলা করেন। মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

নির্যাতনের শিকার রিফাত রামগোপালপুর ইউনিয়নের মধুবন আদর্শ গ্রামের বাসিন্দা। সে রামগোপালপুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।

শিশু রিফাতের বাবা সুরুজ মিয়া সাংবাদিকদের জানান, গাছ থেকে আম পাড়ার কথা বলে ফাতেমা ও হিমেল গত শুক্রবার রিফাতকে নিজেদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে তুচ্ছ ঘটনায় মোবাইল চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গাছের সঙ্গে গরুর রশি দিয়ে বেঁধে রিফাতকে অমানবিক নির্যাতন করেন তারা। পরে খবর পেয়ে সুরুজ মিয়া স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তার ছেলেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন। স্থানীয়ভাবে বিচারের আশ্বাসে ছেলেকে নির্যাতনের ঘটনাটি তিনি গোপন রেখেছিলেন বলে জানান। তিনি বলেন, এর আগেও রিফাতকে মারধর করেছিলেন ফাতেমা ও হিমেল।

এদিকে হিমেল সাংবাদিকদের জানান, ঘর থেকে তার মোবাইল সেট চুরির করে নিয়ে যাওয়ার অপরাধে রিফাতকে গাছের সাথে বেঁধে রেখেছিলেন তিনি।

গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান মারুফ বলেন, ‘গতকাল এ বিষয়ে জানার পর গৌরীপুর থানার পুলিশকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।’

গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর এর সাথে জড়িত ফাতেমা ও হিমেলকে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ভুক্তভোগীর বাবা মামলাটি দায়ের করেন।’