দেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং এইচএম এরশাদ আমলের শিক্ষামন্ত্রী ড. আব্দুল মজিদ খান মারা গেছেন।
গতকাল বুধবার ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান সাবেক এ শিক্ষামন্ত্রী। তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
আইইউবি এক ফেসবুক পোস্টে তার মৃত্যুর কথা জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় আইইউবি ক্যাম্পাসে তার প্রথম জানাজা এবং শুক্রবার জুমার নামাজের পর বারিধারা জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।
আব্দুল মজিদ খান এইচ এম এরশাদ সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮২ সালে তিনি একটি নতুন শিক্ষানীতির প্রস্তাব করেন। সেখানে প্রথম শ্রেণি থেকেই আরবি ও দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে ইংরেজি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য মাপকাঠি করা হয় মেধা অথবা পঞ্চাশ শতাংশ ব্যয়ভার বহনের ক্ষমতা।
এই নীতি ঘোষণার পর থেকেই আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ছাত্রসমাজের দাবি ছিল- একটি অবৈতনিক বৈষম্যহীন শিক্ষানীতি। কিন্তু মজিদ খান যে নীতি ঘোষণা করেন, সেখানে বাণিজ্যিকীকরণ আর ধর্মীয় প্রতিফলন ঘটেছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন। তাই শুরু থেকেই ওই নীতির বিরোধিতা করতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
ফ্রান্স, স্পেন ও মরক্কোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য ফ্রান্স সরকার মজিদ খানকে অফিসার দে ল’র্ড দেস পালমেস অ্যাকাডেমিক্সে খেতাবে ভূষিত করে।