জাতীয়

সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষককে পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে

(Last Updated On: )


শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষককে পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের পদোন্নতি দিতে ইতোমধ্যেই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে কর্মরত ১৫টি শীর্ষস্থানীয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার ‘নিরাপদ ইশকুলে ফিরি’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরও জানান, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ধাপে ধাপে সহকারী শিক্ষকদের সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে। প্রথম ধাপে সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষককে এ পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে।

আগে স্কুল-কলেজে সিনিয়র শিক্ষকদের জন্য আলাদা কোনো পদ ছিল না, বর্তমান সরকার সিনিয়র পদ সৃষ্টি করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষকের সংখ্যা ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৪৩০। পৃথিবীর অনেক দেশ আছে তাদের পুরো জনসংখ্যা এরচেয়ে কম। শিক্ষার্থী এক কোটি পাঁচ লাখ। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ১৫ হাজার ৫২৪ জন আর শিক্ষার্থী ৪০ লাখ ৮৫ হাজার ২৯১ জন। পৃথিবীর খুব কম দেশ পাওয়া যাবে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রায় ৫ মিলিয়ন।

এ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, পুরোপুরি অবস্থার ওপর নির্ভর করবে, আমরা কি ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বা শেষ দিকে স্কুল খোলার একটা সুযোগ পাব নাকি মার্চ মাসে খোলার চেষ্টা করব? মোটকথা একেবারে গোড়া থেকেই যেটি কথা, স্বাস্থ্য ঝুঁকি আমরা নেব না। যেখানে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকবে, তখন আমরা খুলব না। যখন মনে করব, ঝুঁকিটা খুবই কম এবং এখন খোলা যায় নিরাপদভাবে, আমরা তখন খুলব।

‘নিরাপদে ইশকুলে ফিরি’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ, বাংলাদেশে ইউনিসেফের উপ-প্রতিনিধি ভিরা মেন্ডোনকা এবং বাংলাদেশে অবস্থিত কানাডার হাইকমিশনের হেড অব ডেভলপমেন্ট অ্যাসিট্যান্স ফেদ্রা মুন মরিস।

সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের পরিচালক (প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোয়ালিটি) রিফাত বিন সাত্তার এই ক্যাম্পেইনের পটভূমি এবং বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে আলোকপাত করেন। বিভিন্ন গবেষণার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন পরিচালক কেএএম মোরশেদ। ওয়ার্ল্ড ভিশনের পরিচালক টনি মাইকেল অনুষ্ঠানটি সমন্বয় ও সঞ্চালনা করেন।

ইউনিসেফের উপ-প্রতিনিধি ভিরা মেন্ডোনকা তার বক্তব্যে মহামারির মধ্যে শিশুদের জন্য স্কুলকে সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হিসেবে নিশ্চিতে উন্নয়ন সংস্থা এবং সরকারের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করার পাশাপাশি সরকারকে এটাও ভাবতে হবে মহামারি পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ঝরেপড়া ও বাল্য বিবাহের হারও বেড়ে গেছে। ফলে এই পরিস্থিতির উন্নয়নে কীভাবে কাজ করা যায় তা বের করা জরুরি।