মেহেরপুরের গাংনীতে দুই ব্যাক্তি এনআইডি (জাতীয় পরিচয় পত্র) কার্ড সংগ্রহ করতে এসে তারা জানতে পারলেন অনেক আগেই তারা মৃত্যু বরণ করেছেন। অফিস তথ্যে লেখা হয়েছে এমন তথ্য। এ নিয়ে জটিলতায় পড়েছেন ভুক্তভোগী দুজন।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান বলছেন, এমন অনেকের ক্ষেত্রেই হয়েছে। তবে এ তথ্য পুনরায় সংশোধন করা কঠিন বিষয়। অন্যদিকে, নির্বাচন অফিস বলছে, এমন অনেকের ক্ষেত্রেই হয়েছে, এটি কাদের ভুল তা বলা যাচ্ছে না।
আজ রবিবার সকাল ১১টার দিকে মেহেরপুরর গাংনী উপজেলা নির্বাচন অফিসে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংগ্রহ করতে আসেন গাংনী আড়পাড়া গ্রামের ৭৫ বছর বয়সী রবকুল এবং মোছা. মুর্শিদা খাতুন। এসে তারা তাদের পরিচয় পত্র খুঁজেপাননি। নির্বাচন অফিস থেকে নথি ঘেটে দেখানো হয়, তাদের নাম মৃতদের তালিকায় রয়েছে।
ভুক্তভোগী মুর্শিদা খাতুন জানান, তিনি স্বামীর মৃত্যুর পর অভাবে সংসার চলছিল। বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করে সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে বিধবা ভাতার জন্য তার নাম তালিকাভুক্ত হয়। তাই তার নামে একটি বিকাশ অ্যাকাউন্ট করতে হবে। বিকাশ অ্যাকাউন্ট করতে এনআইডি স্মার্ট কার্ড প্রয়োজন। এজন্য আজ রবিবার সকালে নির্বাচন অফিসে এসছিলেন। অফিসের তথ্যে তাকে মৃত দেখানো হচ্ছে। একই কথা জানালেন আরো এক ভুক্তভোগী রবকুল। তিনি বলেন, হেঁটে এসে শুনলাম আমরা মৃত।
ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান বলেন, এমন বেশ কয়েকজন আমার কাছে এসেছিলেন। সমস্য হয়েছে তথ্য সংগ্রহকারীদের ভুলে। তবে ভুক্তভোগীদের বিষয়টি বিবেচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে।
গাংনী উপজেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল আজিজ বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) তথ্য সংগ্রহকারীদের ভুল। মুজিবনগর উপজেলায় এমন সমস্যায় পড়েছেন এ পর্যন্ত সাত জন এবং গাংনী উপজেলায় ৯ জন। তবে সমস্যার সমাধানের সুযোগ রয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
