বিনোদন

নোবেলের ‘মানসিক চিকিৎসা’ চলছে

(Last Updated On: )

কণ্ঠশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেলের ‘মানসিক চিকিৎসা’ চলছে। নিজেই এ কথা জানিয়েছেন তিনি। গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সাইবার ক্রাইম ডিভিশন তাকে ডেকে নেয় কিছু জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। সেখান থেকে ফিরে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে এক পোস্টে নিজের মানসিক চিকিৎসার তথ্য জানান নোবেল।

সম্প্রতি, বেশ কয়েকদিন ধরে দেশের বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী জেমস, সুরকার ইথুন বাবুসহ কয়েকজন সঙ্গীত অনুরাগীকে উদ্দেশ করে অপ্রীতিকর ফেসবুক পোস্ট করেন নোবেল। মূলত, এ বিষয়ে তাকে ডেকে নেয় পুলিশ। নোবেল ডিএমপি সদর দপ্তরে গিয়ে ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি ও ক্রাইম ইউনিটের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন।

সাইবার সিকিউরিটি ও ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাজমুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নোবেলকে ডাকা হয়েছিল। তার সঙ্গে পুলিশের কথা হয়েছে।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পর নোবেল তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লিখেন, ‘আমি মাঈনুল আহসান নোবেল! আমি আপনাদের নোবেল! আজ আমি নোবেল হতে পেরেছি আপনাদের ভালবাসা, সমর্থন ও দোয়ায়। দুই বাংলার অসংখ্য বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্য গান গাইতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। আমি বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের বাংলা গানের ভক্তদের জন্য মৌলিক গান নিয়ে ফিরে আসতে চাই। আমি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে আমার পেজে সমসাময়িক রাজনীতি, সংস্কৃতি ও ব্যক্তিগত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্ট্যাটাস দেই বা কথা বলি। মানসিক ও শারীরিক বিচ্যুতি অনেক সময় ফেসবুকসহ আমাদের মিথষ্ক্রিয়ার বিভিন্ন জায়গায় প্রভাব ফেলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আমার অনেক পোস্ট এই বিচ্যুতির ফল। আমি বিশ্বাস করি আমার পোস্ট অনেককেই ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং সমষ্টিগত ভাবে সম্মানিত নেটিজেনদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।’

নোবেল আরও বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত ভাবে বিখ্যাত লিজেন্ড শ্রদ্ধেয় জেমস ভাই, শ্রদ্ধেয় ও প্রিয় তাপস ভাই, প্রিয় গীতিকার-সুরকার ইথুন বাবু ভাই, সুপ্রিয় সংগীত পরিচালক আহমেদ হুমায়ন ভাই, সময় টিভির সাংবাদিক আল কাছির ভাইসহ সকল সাংবাদিক ভাইবোনদের কাছে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে ক্ষমা চাই ও আমার পোস্টের মাধ্যম যারা কষ্ট পেয়েছেন তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করি। আমি এই মুহূর্তে আমার মানসিক ও শারীরিক বিচ্যুতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমার পরিবারের সমর্থনে আমি চিকিৎসা গ্রহণ করছি ও আল্লাহর রহমতে শিগগিরই সুস্থ হয়ে নতুন গান নিয়ে ফিরে আসবো।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি যেহেতু বাংলাদেশের সাইবার আইন ও পুলিশের সাইবার ইউনিটের কার্যক্রম বিষয়ে সচেতন, আমি সচেতনভাবে দেশের আইন বা নৈতিকতার বাইরে কিছু করতে চাই না বা আর করবো না, তারপরও আমার অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মের জন্য যে কোনও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হলে তা মাথা পেতে নেব। আমিও আশা করবো আপনারা সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ করে দেবেন। ভাল থাকুক নোবেল, ভাল থাকুক বাংলাদেশের সাইবার স্পেস, ভাল থাকুক বাংলাদেশের সংস্কৃতি। ভাল থাকুন আপনারা সবাই। আল্লাহ সহায়!’