ফেনীতে স্বর্ণের বার ডাকাতির মামলার পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইর ইন্সপেক্টর মো. শাহ আলম জানান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোতাহের হোসেন, এসআই মিজানুর রহমান, এসআই নুরুল হক, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) অভিজিত বড়ুয়া ও এএসআই মাসুদ রানার তিনদিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে।
পুনরায় রিমান্ড না চাওয়ায় আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে ঘটনাস্থল মঙ্গলবার দুপুরে পরিদর্শন করেছে পিবিআই টিম।
পিবিআইর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, ঘটনার দিন গোপাল কান্তি দাসের গাড়িটি প্রথমে মোহাম্মদ আলীতে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে ডিবি পুলিশ সেখান থেকে গাড়িটি নিয়ে আসে ফতেহপুর রেলক্রসিংয়ে। সেখানে স্বর্ণের বার নিয়ে দর কষাকষি হয়। পরে গোপাল কান্তি দাসকে মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়।
পিবিআইর পুলিশ সুপার আরো জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পিবিআই টিমের সঙ্গে স্বর্ণ ডাকাতির মামলার আসামি ডিবির ওসি মো. সাইফুল ইসলাম ভুইয়া, এসআই মোতাহের হোসেন, এসআই মিজানুর রহমান, এসআই নুরুল হক, এএসআই অভিজিত বড়ুয়া ও এএসআই মাসুদ রানা উপস্থিত ছিলেন। তাদের দেখানো স্থানগুলো পরিদর্শন করা হয়।
প্রসঙ্গত গত ৮ আগস্ট বিকেলে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে যাওয়ার সময় স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাস ফতেহপুর রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে ডিবি পুলিশ তার গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করে স্বর্ণের বারগুলো ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গোপাল কান্তি দাস ফেনী মডেল থানায় বাদী হয়ে ডিবির ওসিসহ ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।