জাতীয়

দখল-চাঁদাবাজিতে ভাড়াটে খুনি গ্রুপ

(Last Updated On: )

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিতর্কিত জায়গা দখল-বেদখল কিংবা ঠিকাদারদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ই তাদের পেশা। টাকার বিনিময়ে কোনো পক্ষের হয়ে অপর পক্ষকে অস্ত্রসহ ভয়ভীতি দেখানো হতো।

কখনো কখনো কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে কিলিং মিশনেও অংশ নিতেন তারা।

রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকায় আরব আলী হত্যা চেষ্টার ঘটনায় জড়িত তিন জনকে অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেফতার করা ব্যক্তিরা হলেন- মো. সাহজামান ওরফে বাবু, মো. দুলাল প্যাদা ওরফে জিএমপি দুলাল ও মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে সুজন। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি রিভলবার, একটি পিস্তল ও তিন হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি বলেন, ক্যান্টমেন্ট এলাকার ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বাদী মো. আরব আলী পেশায় একজন ঠিকাদার। ১৫ মার্চ বাদীর এলাকার লোকজন নিজেরা অর্থ সংগ্রহ করে এলাকার ৮০ ফুট প্রশস্ত সুয়ারেজ ড্রেনের কাজের জন্য তাকে দায়িত্ব দেয়। কাজ চলাকালীন গ্রেফতাররা বিভিন্ন সময় বাদীর কাছে চাঁদা দাবি করে হুমকি দিতে থাকে। ঠিকাদার আরব আলী চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত ৩০ মার্চ দুপুরে ক্যান্টনমেন্ট থানার ৩৩-এ বাসার সামনে রাস্তার ওপর তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে। আরব আলী ডান পায়ের উরুতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।

এরপর ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ভিডিও পর্যালোচনা ও প্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মো. সাহাজাহান ওরফে সাবুকে চাঁদপুরের হাইমচর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে পল্লবী থানার কালশী বাউনিয়াবাধস্ত তার বাসা থেকে ৬ চেম্বার বিশিষ্ট একটি রিভলবার ও এক হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।

পরে কালশী এলাকা থেকে দুলাল ও সুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল ও দুই হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।  

গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ডিবির এই কর্মকর্তা জানান, তারা বিভিন্ন সময় কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় কিলিং মিশনে অংশ নিতেন। এছাড়াও তারা পরস্পর যোগসাজশে মাদক ব্যবসার বিস্তৃতি ও ভাষানটেক, কালশী, ক্যান্টনমেন্ট, মাটিকাটা এলাকায় চাঁদাবাজি ও প্রভাব বিস্তারের জন্য অস্ত্র ব্যবহার করে আসছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র আইনে তিনটি পৃথক মামলা হয়েছে।  

গ্রেফতারদের পৃষ্ঠপোষকদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদেশে পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসী ইব্রাহীম ও যুবরাজের তত্ত্বাবধানে তারা কাজ করে বলে জানিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও এ চক্রের আরো আট থেকে দশজনের নামের তালিকা পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।