আর মাত্র ২১ ঘণ্টা, এরপরই অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন। গত দুবারের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন এবারের নির্বাচন। তবে যতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আশা করা হচ্ছিল ততটা হয়নি। ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন সাতজন। এ ছাড়া বাকি ১৬ পদে লড়বেন মাত্র ২৩ জন।
শুরুতে মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন ৩২ জন। কিন্তু শেষ সময়ে এসে প্রত্যাহার করেন দুজন। একজন অবশ্য বেধে দেওয়া সময়ের পর প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। ফলে তারটা গ্রহণ নাও হতে পারে। তবুও বলা যায় এখন প্রার্থী ৩০ জনই।
ক্যাটাগরি-১ এ ঢাকা, রাজশাহী ব্যতীত বাকি বিভাগগুলোতে নির্বাচনের প্রয়োজন নেই। প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় পাঁচ বিভাগে সাতজনই নির্বাচিত হচ্ছেন। বাকি ঢাকাতে দুই পদে লড়বেন তিন জন এবং রাজশাহীতে একটি পদে লড়বেন দুজন। একইভাবে ক্যাটাগরি-২ থেকে ১২ পদে লড়বেন ১৬ জন আর ক্যাটাগরি-৩ এ একটি পদে দুজন।
সবকিছু বিবেচনায় এবারের নির্বাচনেও আগের চেয়ে বড় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা চোখে পড়ছে না। তবে বিসিবি ভবন কিংবা তার আশপাশ সেজেছে নির্বাচনী সাজে। চারদিকে প্রার্থীদের ব্যানার, পেস্টুনে ভরে গেছে। বিসিবি কার্যালয়ের দেয়ালের উপর থেকে নিচে ঝুলছে প্রার্থীদের প্রচারণার ব্যানার। এক নিদারুণ নির্বাচনেও সাজসাজ রব, কিছুটা উত্তাল হাওয়া বইছে।
অবশ্য গত ৯ বছর বিসিবির সভাপতিত্ব পালন করা নাজমুল হাসান পাপন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের আশা করেছিলেন। এর জন্য একটি নির্দিষ্ট প্যানেল থেকে বেরিয়ে এসেছে তিনি। চেয়েছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিতদের নিয়ে আগামী দিনে বিসিবির নেতৃত্ব দিতে। তবে এবার তার আশার তেমন প্রতিফলন হয়নি। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেন ভবিষ্যতে আরও কিছু সংগঠকের আগ্রহ বাড়তে পারে।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টা শুরু হচ্ছে বিসিবির নির্বাচন। ১২৭ জন ভোটারের ভোটে নির্ধারণ হয়ে যাবে কারা আগামী চার বছর বিসিবিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর মধ্যে ৫৭ জনই ভোট দিচ্ছেন ই-ভোটের মাধ্যমে।