পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আসন নির্ধারণ করা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে আরো বিলম্ব হলেও বিসিএস পরীক্ষা শুরু হলে শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা শুরু করা হবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে ডিপিইর মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, পরীক্ষা আয়োজনে কারিগরি প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় লিখিত পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব হয়নি। তবে আগামী জুন-জুলাই মাসের মধ্যে এ পরীক্ষা শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে গেলে নিয়োগ পরীক্ষা নিতে আর সমস্যা থাকবে না। যদি সেটি আরো পিছিয়ে যায় তবে আমরা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) বিসিএস পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করবো। তারা যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা আয়োজন করবে সেখানে ধাপে ধাপে প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষার আসন নির্বাচন করা হবে।
মহাপরিচালক আরো বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করলেও আমাদের সাড়ে ১৩ লাখ প্রার্থীর পরীক্ষা নেয়া কঠিন বিষয় হয়ে পড়েছে। এজন্য আমরা পিএসসির পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করছি। তাদের পরীক্ষা শুরু হলে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ণে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজ শেষ করা হয়েছে। পরীক্ষার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সঙ্গে চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষা আয়োজনে নিয়োগ পরিচালনা কমিটি একাধিক সভা করে সব প্রস্তুতিমূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন কেবল পরীক্ষা শুরুর অপেক্ষা করা হচ্ছে।
এবার প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেবে সরকার। যার মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে নিয়োগ পাবে ২৫ হাজার ৬৩০ জন। এই নিয়োগে ১৩ লাখ ৫ হাজারের বেশি আবেদন জমা হয়। অনলাইন আবেদন করতে গিয়ে নানা ধরনের ভুল সংশোধন করার সুযোগও দেয় ডিপিই।