পুলিশের সঙ্গে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আকিজ বিড়ি কারখানার শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার হোসেনাবাদে আকিজ বিড়ি কারখানার প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এতে শিপুল ইসলাম নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি হোসেনাবাদ গইড়িপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে কারখানায় ঢোকার নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর কয়েকজন শ্রমিক ঢোকার চেষ্টা করেন। কারখানার নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে কারখানা কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে শ্রমিকদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রথমে লাঠিপেটা শুরু করে এবং পরে ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
শ্রমিকদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে কারখানার সব শ্রমিক কাজ বন্ধ করে হোসেনাবাদ বাজারে কুষ্টিয়া–প্রাগপুর সড়ক অবরোধ করে। তাঁদের সঙ্গে উপজেলার ফিলিপনগর কারখানার শ্রমিকেরাও যোগ দেন। অভিযোগ পাওয়া গেছে, পুলিশের ছোড়া গুলিতে শিপুল ইসলাম নামের এক শ্রমিক আহত হয়েছেন। তিনি এখনো কারখানার ভেতরেই আছেন। পুলিশের লাঠিপেটায় কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।

শ্রমিকদের অভিযোগ, কারখানার ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলামের নির্দেশে পুলিশ শ্রমিকদের ওপর লাঠিপেটা করে এবং গুলি ছোড়ে। তাঁরা অবিলম্বে তাঁর অপসারণ দাবি করেছেন। ঘটনার পর কুষ্টিয়া–দৌলতপুর-মহিষকুণ্ডি আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। গাছের গুঁড়ি দিয়ে সড়কে ব্যারিকেড দেন। সড়কের ওপর টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে তাঁরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কারখানার ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কারখানার আরেক ব্যবস্থাপক রাসুল উদ্দীনের মোবাইল ফোনে কল করা হলে ফোনের লাইন কেটে দেন। এ জন্য তাঁরও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
দৌলতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহাদত হোসেন বলেন, তাঁরা আত্মরক্ষার্থে তিনটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। সড়ক অবরোধকারী শ্রমিকদের দুপুর ১২টায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ গুলিবিদ্ধ হওয়ার কোনো ঘটনা জানা নেই।