জাতীয়

অজ্ঞান করতে গিয়ে রোগীকে ‘মেরে ফেললেন’ চিকিৎসক!


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

টাঙ্গাইলে অপারেশনের টেবিলে অতিরিক্ত অ্যানেস্থেসিয়া (অজ্ঞান করার ওষুধ) প্রয়োগে জায়েদা বেগম (৬০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল শনিবার বিকেলে শহরের জনতা ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। মৃত জায়েদা বেগম বাসাইল উপজেলার কালিয়া গ্রামের হাসান আলীর স্ত্রী।

ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, গতকাল সকালে জরায়ু অপারেশনের জন্য জায়েদা বেগমকে জনতা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আখলিমা খাতুনের তত্ত্বাবধানে বিকেলে অপারেশনের আগে তাকে অজ্ঞান করা হয়। পরবর্তীতে আর জ্ঞান না ফেরায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ রোগীকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেয়। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক রোগীকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ঘটনা ধামাচাপা দিতেই দ্রুত রোগীকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেয় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।

স্বজনদের দাবি, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাদের জানিয়েছেন, অতিরিক্ত অ্যানেস্থেসিয়া প্রয়োগের কারণেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

এ বিষয়ে জনতা ক্লিনিকের মালিক নবাব আলীর বলেন, ‘এখানে আমার কোনো দোষ নেই। ডাক্তার রোগী ভর্তি করেছেন, আবার ডাক্তারই তাকে নিয়ে গেছেন। এটা ডাক্তারের বিষয়। আমি শুধু ডাক্তারকে টাকা দেই, এই পর্যন্তই।’

অভিযুক্ত চিকিৎসক আখলিমা খাতুন বলেন, ‘ওই রোগীর শরীরে অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার পরপরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শুরু হয়। এ সময় তাকে ওষুধ দিলে তিনি অনেকটা সুস্থবোধ করেন। পরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।’

টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল ছালাম মিয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’