জাতীয়

‘আমি পাগল না কি ১৬ জানুয়ারি প্রমাণ করে দেবো’


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘আমি আমেরিকায় চিকিৎসা শেষে বাংলাদেশে এসে কিছুদিন আগে ঘোষণা দিয়েছি, আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব, আমি সাহস করে সত্য কথা বলব। সে প্রতিশ্রুতি নিয়েই আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি।

কাদের মির্জা বলেন, দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। এখানকার দল আমাকে সহযোগিতা করছে। আমি অন্যদের এবং প্রশাসন থেকেও কোন সহযোগিতা পাচ্ছি না। এ নির্বাচনকে আমি অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ সৃষ্টি ও জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে নির্বাচন করছি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে যখন প্রতিবাদ করি, তখন জাতীয়ভাবে আমাকে বলা হয়- আমি নাকি পাগল, উন্মাদ। এ বিচারটা আপনাদের কাছে দিলাম। ১৬ তারিখ (বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন) আমি পাগল না কি তা প্রমাণ করে দেব। যে আমাকে বলছে, গোপালগঞ্জের ৯৯ ভাগ আওয়ামী লীগ অধ্যুসিত এলাকা থেকে এমপি হয়েছেন। আগে মন্ত্রী ছিল, এখন নাই। ওনার সম্পর্কে সবাই জানেন কি কি অনিয়ম করেছেন। অনিয়ম না করলে তাকে মন্ত্রী বানানো হয়নি কেন? তিনি আবার আমাকে বলেন পাগল।’ শনিবার দুপুরে বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ৮নং ওয়ার্ড উপজেলা পরিষদের সামনে পথসভায় এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছেন, শেখ হাসিনা মানুষের ভাতের অধিকার দিয়েছেন, এখন শেখ হাসিনাকে মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য কাজ করতে হবে। আমরা তাকে সহযোগিতা করব। রাতারাতি এটা করা সম্ভব নয়। পয়সা দিয়ে যারা এমপি মনোনয়ন নেন, তারা জীবনে নিজ এলাকায় গিয়ে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। তারা ভোট আসলে প্রার্থী হয়ে ভোট চুরি করার জন্য দৈহিক শক্তি ব্যবহার করে মাস্তান পালে। শেখ হাসিনা কখন এদের পাহারা দেবেন। এর মধ্যেও অনেক জায়গায় ভালো ভোট হয়। যেমন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের এলাকায় ভালো ভোট হয়। তিনি বারবার নির্বাচিত হয়েছেন।’

কদের মির্জা আরো বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জে আজকে অস্ত্রের ঝনঝনানী চলছে। কবিরহাট ও ফেনীতে এক বাড়িতে নির্বাচন বানচাল করার যড়যন্ত্র করছে। গত দুই দিন আগে চট্টগ্রাম থেকে অবৈধ অস্ত্র এনেছে, আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি। নোয়াখালীর প্রশাসন মাসওয়ারা খায়। নোয়াখালীর নেতাদের কারা শেল্টার দেয়? অথচ ঢাকা থেকে নো বললে তারা আর নেই। কিন্ত একজন নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্যে হত্যা করে পেট্রল দিয়ে তার গাড়িসহ তাকে পুড়িয়ে ফেলেছে, কিন্তু তাদের পরিবার আজও বিচার পায়নি। আজ ওই পরিবার যে ঘর থেকে বের হয়ে বিচার চাইবে- তারও সুযোগ নেই। তাহলে কি ওই পরিবার বিচার পাবে না? ’

এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত, সহ-সভাপতি ইসকান্দার বাবুল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল প্রমুখ।