জাতীয়

আরএসআরএমের এমডি মাকসুদুর আটক


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আড়াই হাজার কোটি টাকা পরিশোধ না করায় দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্প গ্রুপ রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের (আরএসআরএম) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুর রহমানকে আটক করেছে র‍্যাব। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি।

বুধবার দিবাগত রাত (৯ জুন) ১ টার দিকে গুলশানে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। তাকে আটকের পর এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিস্তারিত তুলে ধরেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি জানান, আরএসআরএম-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। তিনি দেশের অন্যতম শীর্ষ ঋণখেলাপী ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। দিবাগত রাত ১ টার দিকে রাজধানীর গুলশানের একটি বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে বেশ কিছু চেক বই ও ক্রেডিট কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

মাকসুদুর রহমান চারদিন আগে গুলশানে একটি বাড়িতে আত্মগোপনে এসেছে খবর পেয়ে অভিযান চালায় র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি লোন নিয়ে তা শোধ না করার অভিযোগ রয়েছে।।

এছাড়া, বিভিন্ন থানায় ১০টিরও বেশি মামলা রয়েছে বলে ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে র‌্যাব। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।

এদিকে, ২০০০ কোটি টাকারও বেশি দেনার দায়ে ডুবতে বসেছে চট্টগ্রামের ইস্পাত খাতের অন্যতম শিল্পপ্রতিষ্ঠান রতনপুর গ্রুপ। ২০১ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ে এই গ্রুপের বন্ধক দেওয়া সম্পত্তি নিলামে তুলেছে সোনালী ব্যাংক লালদীঘি শাখা। সবচেয়ে বেশি ঋণদাতা জনতা ব্যাংক লালদীঘি শাখাও তাদের ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা আদায়ে মামলা করেছে।

এছাড়া সোনালী ব্যাংক এই গ্রুপের মালিকানাধীন আরেক প্রতিষ্ঠান মডার্ন স্টিলের কাছে ৪৬৬ কোটি টাকা, ট্রাস্ট ব্যাংক ৬০ কোটি, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ১৫০ কোটি, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ৫৫ কোটি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক) ৫৬ কোটি, প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ২৪ কোটি টাকাসহ প্রায় ১০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা রয়েছে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার বেশি।

১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়া গ্রুপটির বার্ষিক টার্নওভার প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় ৮০০ কর্মী নিয়োজিত ছিলেন। তবে এক বছরের বেশি সময় ধরে এই গ্রুপের চারটি ইস্পাত প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে ১০টি ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে ২ হাজার ২০০ কোটির বেশি বকেয়া থাকায় ডুবতে বসেছে গ্রুপটি।