জাতীয়

আসামি প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্কের অপেক্ষা


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্কের জন্য রেখেছেন আদালত।  

রোববার (১২ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।

এ সময় আদালতে ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি কারন উপস্থিত ছিলেন।

তাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সমীর দাশগুপ্ত ও রতন চক্রবর্তী বলেন, প্রদীপ ও চুমকি কারনের পক্ষে দুইজন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। সাক্ষ্য দিয়েছেন বোয়ালখালীর সারোয়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন ও ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল জলিল।  ২০ জুন আদালত যুক্তিতর্কের দিন নির্ধারণ করে দিয়েছেন।  

দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মাহমুদুল হক মাহমুদ বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে আদালতে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। আসামি পক্ষ থেকে দুইজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ ডিসেম্বর প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রদীপ কারাগারে থাকলেও তার স্ত্রী চুমকি পলাতক ছিলেন। গত ২৩ মে আদালতে চুমকি কারন আত্মসমর্পণ করেন।  

প্রদীপ কুমার দাশ ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ গোপন করতে নগরের কোতোয়ালী থানাধীন পাথরঘাটা এলাকার একটি ছয়তলা বাড়ি শ্বশুরের নামে নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে ওই বাড়িটি প্রদীপ দাশের শ্বশুর চুমকি কারনের নামে দান করেন। দানপত্র দলিল হলেও বাড়িটি প্রদীপ দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারন কর্তৃক অর্জিত। আয়কর রিটার্নে আসামি চুমকি কারনের কমিশন ব্যবসা এবং বোয়ালখালী উপজেলায় ১০ বছরের জন্য লিজ নেওয়া পাঁচটি পুকুরে মাছের ব্যবসার যে আয় দেখানো হয়েছে তাও প্রদীপ দাশের অপরাধলব্ধ অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে ভুয়া ব্যবসা প্রদর্শন করে দেখানো হয়েছে। প্রদীপ তার স্ত্রীকে কমিশন ব্যবসায়ী ও মৎস্য ব্যবসায়ী সাজিয়ে অবৈধ সম্পদ বৈধ করার চেষ্টা করেছেন।

অভিযোগপত্রে যেসব সম্পদের উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো হলো- নগরের পাথরঘাটায় একটি ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরে সেমিপাকা ঘর, ৪৫ ভরি সোনার গয়না, একটি কার ও একটি মাইক্রোবাস এবং কক্সবাজারে ফ্ল্যাট।  

মামলায় ২৯ জনকে সাক্ষী করা হলেও দুদকের পক্ষে ২৪ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি চুমকির বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছিল। তবে এই মামলায় প্রদীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিপরীতে উচ্চ আদালতে করা একটি আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়ায় ঐদিন সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি। গত ৪ এপ্রিল আবেদন নিষ্পত্তি হওয়ার ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।