ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের প্রতিবাদ ও নিন্দায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ডাকা জরুরি বৈঠকে বাংলাদেশ নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) এই বৈঠকে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘ মহাসচিবের নেতৃত্বে সংলাপের মাধ্যমে সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দিয়েছে। পাশাপাশি জাতিসংঘ সনদে বর্ণিত সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় অখণ্ডতার নীতির প্রতিও সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।
এর আগে ইউক্রেন প্রশ্নে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে নিন্দাসূচক প্রস্তাবে রাশিয়ার ভেটোর কারণে তা বাতিল হলে বিষয়টি আলোচনার জন্য সাধারণ পরিষদে স্থানান্তরিত হয়। নিরাপত্তা পরিষদে তোলা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিতে চীন, ভারত ও আরব আমিরাত ভোট দানে বিরত থাকে।
নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপনের পর জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ বলেন, যথেষ্ট হয়েছে, ইউক্রেনে হামলা এখনই বন্ধ করতে হবে। বেসামরিক এলাকায় রুশ বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণের নিন্দা করে তিনি ইউক্রেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমানার ওপর তার সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক সংহতি রক্ষার ওপর জোর দেন।
সোম ও মঙ্গলবার এই বিতর্কে যেসব দেশ অংশগ্রহণ করে, তাদের অনেকেই ইউক্রেনে হামলার জন্য রাশিয়ার সমালোচনা করে। শুধু পশ্চিমা দেশগুলোই নয়, তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থার ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে বর্ণনা করে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন নিউইয়র্কে অবস্থান করলেও জাতিসংঘের এই বিতর্কে অংশ নেননি। একটি স্থানীয় বাংলা টিভির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সবরকম যুদ্ধের বিরুদ্ধে। জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগে এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হোক, আমরা সেটাই চাই।
সাধারণ পরিষদের বিতর্ক শেষে বুধবার ইউক্রেন প্রশ্নে যে নিন্দাসূচক প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার কথা, তাতে বাংলাদেশের ভূমিকা কী হবে, তা জানা যায়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।