Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। শনিবার (১০ এপ্রিল) বিকালে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।
রোববার (১১ এপ্রিল) তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আইসিডিডিআর,বি’র ল্যাবলেটরিতে তার করোনা পরীক্ষা করানো হয়।
রোববার হাসপাতালসহ একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে খালেদা জিয়া জ্বরে ভুগছেন। তাই তিনি করোনা সংক্রমিত কিনা জানতে শনিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে তার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর ঢাকার অন্যতম একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার করোনা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। সেই পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, শনিবার বিকেল ৩টার দিকে ধানমন্ডির ওই বেসরকারি হাসপাতালের করোনা ইউনিট থেকে একজন টেকনোলজিস্ট খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় যান। এর আগে ওই হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন খালেদার জিয়ার পরিবার ও তার চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টরা। রক্তের নমুনা নেওয়ার সময় খালেদা জিয়ার ভাগ্নে ডা. মামুনও সেখানে ছিলেন। করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি তার ডায়াবেটিস টেস্টের জন্যও নমুনা নেওয়া হয়। গোপনীয়তার সঙ্গে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দর বলেন, ‘নো কমেন্ট’। আর বোন সেলিমা রহমান বলেন, ‘আমি তো বেশ কয়েকদিন ধরে যাইনি। শরীরটা ভালো না। এ সম্পর্কে আমি কিছুই বলতে পারবো না।’ রিপোর্টে থাকা একটি নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিজেকে সবুজ বলে পরিচয় দেন। তিনি খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ডা. মামুন ও ডা. অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সঙ্গে যোাগযোগ করার পরামর্শ দেন। খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট পজিটিভ এসেছে, এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা তো আমি জানি না, জাহিদ স্যার ভালো জানবেন।’
পরে ডা. জাহিদকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
খালেদা জিয়া সরকারের নির্বাহী আদেশে জামিনে রয়েছেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় তাকে কারাগারে যেতে হয়েছিল। দুই বছরের বেশি সময় কারাগারে থাকার পর গত বছর করোনা মহামারির কারণে পরিবারের আবেদনে তাকে ছয় মাসের জামিনে মুক্তি দেয় সরকার, যা তিন দফায় বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার সঙ্গে পরিবারের সদস্য ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক বাদে অন্য কেউ দেখা করতে পারেন না।