জাতীয়

ঈদ পরবর্তী করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গত কয়েকদিন ধরে মানুষ যেভাবে ঠাসাঠাসি করে বাড়ি ফিরছেন তাতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। রাজধানী ঢাকা থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ ফেরিতে, পণ্যবাহী যানবাহনে, যে যেভাবে পেরেছেন বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন। এমতাবস্থায় ঈদের পর করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি কী হয় তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার।

এদিকে ঘরমুখো মানুষের প্রচণ্ড ভিড়, গরম, রোদের তাপ আর অক্সিজেনের অভাবে বুধবার (১২ মে) ফেরির পাঁচ যাত্রী মারা গেছেন। এছাড়া গরমে, মানুষের ভিড়ে ও অক্সিজেনের ঘাটতি হওয়ায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। একই অবস্থা মার্কেট ও শপিংমলে, সেখানেও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে কেনাকাটা করতে আসা মানুষের উপচেপড়া ভিড়। কোনোভাবেই স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।

গত কয়েক দিন আগে দেশে সংক্রমণ উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলো। এরপর টানা ‘লকডাউন’ দেওয়ায় সংক্রমণ এবং মৃত্যু হার অনেকটাই কমে এসেছে। ঈদ যাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হওয়ায় ফের সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছে সরকার। স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে ঈদ উদযাপনে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় না যাওয়ার জন্য সরকার এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বার বার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এরপরও গত কয়েক দিনে ১৫ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত আরও ৫ লাখের মতো মানুষ ঢাকা ছাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ারও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ কারণে চলমান লকডাউন আরও এক দফা বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। চলমান ‘লকডাউন’ আগামী ১৬ মে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান ‘লকডাউন’ আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ঈদের সময় ৯০ লাখ থেকে এক কোটি মানুষ ঢাকার বাইরে যায়। এবার ধারণা করা হচ্ছে ১৫ লাখ মানুষ এরইমধ্যে ঢাকা ছেড়েছেন, আরও হয় তো ৫ লাখের মতো ঈদের আগ পর্যন্ত যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে সরকারের কিছু সফলতা আছে। কিন্তু যেভাবে মানুষ বাইরে গেছেন তাতে তো করোনা সংক্রমণ বাড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এর ফলে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।