জাতীয়

এক জমিতে বাঙ্গি-শসা-তরমুজ চাষে সফল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

কোভিট-১৯ পুরো বিশ্বকে থমকে দিয়েছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। পুরো শিক্ষাব্যবস্থাও বিধ্বস্ত। অবসর কাটাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এমন অবসর সময়ে কৃষিকাজ করে আলোচনায় এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্র। টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায় সেলিমপুর গ্রামের এক জমিতে তিন ফসল চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন তিনি। এ অঞ্চলে শসা, তরমুজ ও বাঙ্গি চাষ একেরেইই ছিল না। পরীক্ষামুলকভাবে চাষ করা শসা, তরমুজ ও বাঙ্গি ফলনও ভালো হওয়ায় খুশী ওই ছাত্র।

জানা যায়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিতে বিএসসি পাস করা টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের গোমজানি গ্রামের ছেলে শাকিল আহমেদ শুভ। তিনি কৃষিকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। নিজের বাবার জমিতে তিনি শসা, বিদেশি ব্ল্যাক বেরী জাতের তরমুজ ও বাঙ্গির চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সারা ফেলেছেন।

এর মধ্যে তরমুজ চাষ এ অঞ্চলে এবারই প্রথম। নিজে কৃষিবিদ হওয়ায় অন্য কারও পেছনে ঘুরতে হয়নি শাকিলকে। একসঙ্গে এক জমিতে তিনটি ফলের চাষ করে সফলতা পাওয়ায় তিনি ব্যাপক আত্মবিশ্বাসী। জমিতে ব্যবহার করেননি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কোনো কীটনাশক। সেক্স ফেরোমান ফাঁদ ব্যবহার করে তিনি করছেন পোকা দমন। জমির উর্বরতার জন্য ব্যবহার করছেন প্রাকৃতিক সার। ইতিমধ্যে তিনি শসা বিক্রি করে কয়েক ৫০ হাজার টাকা আয় করেছেন।

শাকিল আহমেদ শুভ জানান, তিনি নিজের কঠোর পরিশ্রমের ফল পেয়েছেন। বাবার ৪০ শতাংশ জমিতে তিনি তিন ফসলি বীজ রোপন করেন। প্রথম দফাতেই ভালো ফলন পেয়েছেন। শসা, তরমুজ ও বাঙ্গি বিক্রি করে তিনি ব্যাপক অর্থ আয়ের আশা করছেন।

শাকিল আহমেদের বাবা আবদুল করিম জানান, ছেলের এ সফলতায় খুশী তিনি। জমিজুড়ে লম্বা আকৃতির তিনটি ফলন দেখে তার চোখেমুখে খুশির ঝিলিক। তিনি আগামীতে তার ছেলেকে আরও বেশি জমি চাষাবাদের জন্য দেবেন।

আতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম মল্লিক বলেন, ‘শিক্ষার্থী শাকিলের পরামর্শে তারই এলাকার কৃষকেরা এক জমিতে তিন ফসল চাষ করেছেন। নিজেদের এলাকায় এক জমিতে তিন ফসল চাষের সফলতার কথা জেনে আরও অনেকেই চাষের আগ্রহ প্রকাশ করছেন।’

এ বিষয়ে দেলদুয়ার উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. শোয়েব মাহমুদ বলেন, ‘শাকিল আহমেদকে আমরা সবসময় কৃষি পরামর্শসহ সব ধরনের সহায়তা করে আসছি। সেই সাথে এই এলাকার শসা, তরমুজ ও বাঙ্গী চাষীদের সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছি।’