জাতীয়

এনআইডি স্বরাষ্ট্রে, ইসির কফিনে শেষ পেরেক: মাহবুব তালুকদার


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি ও সেবা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হাত থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের বিষয়ের সমালোচনা করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

সক্ষমতার’ অভাবে এনআইডির কাজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে স্থানান্তর করার পরিপ্রেক্ষিতে আলোচিত এই কমিশনার বলেছেন, ‘সম্প্রতি জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি অনুবিভাগ জনবলসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তরের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ যে নির্দেশ জারি করেছে, তা হচ্ছে নির্বাচনের কফিনে সর্বশেষ পেরেক।’

বুধবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে মাহবুব তালুকদার এ কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘কী উদ্দেশে এই আত্মঘাতী ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা আমার বোধগম্য নয়। এটি সংবিধানের ১১৯ ধারার পরিপন্থি। এরই মধ্যে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আমি তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি।’

মাহবুব তালুকদার বলেন, “মন্ত্রিপরিষদের যুগ্ম সচিব স্বাক্ষরিত পত্রে এনআইডি হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় ‘নির্বাচন কমিশন’-এর বদলে ‘সরকার’ শব্দটি প্রতিস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে এনআইডির বিদ্যমান অবকাঠামো ও জনবল সুরক্ষা সেবা বিভাগে হস্তান্তর করার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে এই ধরনের নির্দেশ প্রদান কতোটা যৌক্তিক তা বিবেচ্য বিষয়।”

‘ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র একে-অপরের সঙ্গে জড়িত। এর ফলে নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ডাটাবেজ নির্ভর ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণে জটিলতার সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া এতে নির্বাচন ব্যবস্থা ও কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র ভুলন্ঠিত হবে। এটি করা হলে সংবিধানের ১১৯ ধারা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন সম্ভব হবে না বলে মনে করি।’

মাহবুব তালুকদার আরও বলেন, “এনআইডি সেবা হস্তান্তরের বিষয়ে কমিশনকে না জানানো নির্বাচন কমিশনের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশের শামিল। নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এমন ঘোরতর দুর্দিন আর আসেনি। সংবিধানের ১০৮ (৪) ধারায় বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকিবেন এবং কেবল এই সংবিধান ও আইনের অধীন হইবেন।’ এটি কমিশনের জন্য রক্ষাকবচ হলেও নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা এখন কোথায়?”

আশঙ্কা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগ অন্যত্র হস্তান্তর সামগ্রিক নির্বাচনি ব্যবস্থাপনার অন্তিমযাত্রার আয়োজন।’