জাতীয়

কঠোর লকডাউনে শতাধিক মানুষ নিয়ে ইউএনও’র নৈশভোজ


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

দেশেজুড়ে চলমান কঠোর লকডাউনে যখন মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করার কথা, তখন এর উল্টোটা করলেন নোয়াখালীর হাতিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেন। কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করেন তিনি।

ওই অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকসহ প্রায় শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ কয়েকজন স্বপরিবারে।

চলমান লকাডাউনে সাধারণ মানুষদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষেধ, অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হলে তাদের গুণতে হচ্ছে জরিমানা। এমন পরিস্থিতিতে সব নিয়ম উপেক্ষা করে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ভিতরে শতাধিক লোকের খাওয়ানোর এই আয়োজন করেন স্বয়ং উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি। এ নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাতিয়ার উপজেলা সদরে পাড়ায় মহল্লায় ব্যাপাক সমালোচনা করতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে।

অনুষ্ঠানে ছিল কয়েক পদের ইফতার সামগ্রী। সঙ্গে ছিল বিরিয়ানি দিয়ে নৈশভোজের ব্যবস্থা। এই আয়োজনের রান্নার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হাতিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খ্যাতিমান বাবুর্চি বাবুলকে।

বাবুর্চি বাবুল বলেন, ‘সকাল থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে এই রান্না শুরু করি। ইফতারের পূর্বেই সকল রান্না অফিসার্স ক্লাবে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যে পরিমান রান্না করা হয়েছে, তাতে শতাধিক লোক খুব ভালোভাবে খেতে পারবে।’

অফিসার্স ক্লাবের এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাজিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রথমে মনে করেছি মানুষের উপস্থিতি কম হবে, পরে গিয়ে দেখি অনেক লোকের উপস্থিতি। পরিবেশ দেখে চলে আসার ইচ্ছা থাকলেও সামাজিকতার কারণে আসতে পারিনি।’

এমন অনুষ্ঠান করা সঠিক হয়নি বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসাবে আয়োজককে সতর্ক করেছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘তিনি (ইউএনও) আমার ছেয়েও বড় অফিসার, তাই সতর্ক করতে পারিনি।’

উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষা কর্মকর্তা ভবরঞ্জন দাস বলেন, ‘এটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার একান্ত নিজস্ব পার্টি। প্রথমে এই আয়োজনটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে করার কথা ছিল। কিন্তু বাসায় জায়গা সংকুলান না হওয়ায় অফিসার্স ক্লাবে করা হয়েছে।‘  

এ বিষয়ে ইউএনও মো. ইমরান হোসেন বলেন, ‘এটি কোনো বড় প্রোগ্রাম ছিল না। শুধু আমাদের অফিসারদের নিয়ে একটি ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়।’