জাতীয়

করোনার অমানিশার আঁধার সহসাই কেটে যাবে: রাষ্ট্রপতি


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, রাতের আঁধার শেষেই ঝলমলে রোদের আলোতে ভরে উঠে পৃথিবী। করোনার অমানিশার আঁধারও সহসাই কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ। নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাবে আমাদের দেশ। কিন্তু এর জন্য দরকার সবাইকে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। অর্থাৎ সঠিকভাবে মাস্ক পরা, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা।

বুধবার (২১ জুলাই) কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বঙ্গভবন থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে দেয়া এক বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় বঙ্গভবনের হলওয়েতে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাষ্ট্রপতি পরিবারের সদস্য ও বঙ্গভবনের অতিপ্রয়োজনীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে ঈদের নামাজ পড়েন। নামাজ শেষে এই বার্তা দেন রাষ্ট্রপতি।

সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে চরম ত্যাগ। কোরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে আনন্দ-বেদনা ভাগাভাগি করে নেয়ার মনোভাব ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়। এবার মুসলিম বিশ্ব এমন একটা সময়ে ঈদুল আজহা উদযাপন করছে, যখন করোনার ভয়াল থাবায় গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির ক্রমাবনতির কারণে টিকাদান কর্মসূচি সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হলেও বর্তমানে তা পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার অগ্রাধিকারভিত্তিতে দেশের সকল নাগরিকের জন্য টিকাদান নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। তাই এ কর্মসূচিকে সফল করতে সরকারের পাশাপাশি দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, এমন একটি ভাইরাস যা থেকে ইচ্ছে করলেই কোনো ব্যক্তি বা পরিবার বা এককভাবে একটি দেশের পক্ষে নিরাপদ থাকা সম্ভব নয়। বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে আজ আমরা গ্লোবাল ভিলেজের বাসিন্দা। তাই বিশ্বকে করোনার হাত থেকে বাঁচাতে হলে উন্নত-অনুন্নত ও ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে বহুজাতিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানসহ সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশেও করোনার নেতিবাচক প্রভাব ক্রমান্বয়ে প্রকট হচ্ছে। করোনার কারণে দেশের জনগণের জীবন-জীবিকা আজ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। জীবন বাঁচানো প্রথম অগ্রাধিকার হলেও জীবন বাঁচিয়ে রাখতে জীবিকার গুরুত্বও অনস্বীকার্য। সরকার করোনা মোকাবিলা ও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বিভিন্ন প্যাকেজ প্রণোদনাসহ বহুমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। অস্বচ্ছল ও নিম্নআয়ের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবেও বিভিন্ন সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত আছে। কৃষি ও শিল্পসহ উৎপাদনশীল প্রতিটি খাতের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতেও সরকার সর্বাত্মক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।