চট্টগ্রাম

কাউন্সিলর মুন্নীর ওয়ারিশ সনদে রোহিঙ্গা অন্তর্ভুক্তির শঙ্কা


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

নগরের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মিথ্যা তথ্য ও জালিয়াতির মাধ্যমে রোহিঙ্গারা ভোটার তালিকাসহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধার আওতাভুক্ত হওয়ার আশঙ্কা করেছেন ২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শাহেদ ইকবাল বাবু।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ওই তিন ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ফেরদৌস বেগম মুন্নী বেআইনিভাবে জাতীয়তা সনদ, ওয়ারিশান সনদ, পারিবারিক সনদ, ভূমিহীন সনদ ও মৃত্যু সনদ দিচ্ছেন।

এর ফলে জালালাবাদ ওয়ার্ডে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সনদে তিনি সিল মেরে দিচ্ছেন ‘কোনো ভুল বা মিথ্যা প্রমাণিত হইলে এই সনদ বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে’। যাচাই-বাছাই না করে দেওয়া এ ধরনের অগ্রহণযোগ্য সনদের অপব্যবহার হচ্ছে। বিষয়টি তাকে বিভিন্ন সময় অবহিত করলেও তিনি কর্ণপাত করেননি।  

এ বিষয়ে কাউন্সিলর বাবু সোমবার (১৪ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর চিঠি দিয়েছেন।  

চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি গণমাধ্যমে অভিযুক্ত সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নিজেই  মতামত দেন যে, ‘মন্ত্রণালয় নিষেধ করলে তিনি সনদ দেবেন না। ’ মেয়র বলেছেন, আইনের বাইরে তিনি কাউকে কোনো কাজ করার নির্দেশনা দেননি। ওয়ারিশ সনদ বা অন্য যেকোনো সনদ দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনে যা বলা আছে, কাউন্সিলরদের তা মেনে চলতে হবে।  

গত ৪ নভেম্বর ভোটার হালনাগাদের ছবি তোলার কার্যক্রম বালুচড়া লিডার্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে শুরু হলে ওই মহিলা কাউন্সিলরের ইস্যু করা নাগরিক সনদ থানা নির্বাচন কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপারভাইজার গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে তিনি দলবল নিয়ে কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করেন।  

কাউন্সিলর বাবু চিঠিতে আইন বহির্ভূত কর্মকাণ্ড থেকে মহিলা কাউন্সিলরকে বিরত রাখতে এবং স্ব স্ব দায়িত্ব পালনের জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা মেনে চলতে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সহযোগিতা কামনা করেন।

এ বিষয়ে জানার জন্য ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ফেরদৌস বেগম মুন্নীর মোবাইলে একাধিকবার কল করেও বন্ধ পাওয়া গেছে।