জাতীয়

কাদের মির্জার নেতৃত্বে ব্যবসায়ীকে হাতুড়িপেটার অভিযোগ


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে মালিককে হাতুড়িপেটা, ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (২৭ মার্চ) রাত পৌনে ৯টার দিকে বসুরহাট বাজারের আজমেরী হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই হোটেলের মালিকসহ অন্তত ৪ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে হোটেলের মালিকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতরা হলেন, মো.জসিম উদ্দিন, আবু সায়ীদ, আল আমিন, কামাল। আজমেরী হোটেলের মালিকের ছোট ভাই গিয়াস উদ্দিন সজীব গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, তাদের পরিবার বসুরহাট বাজারের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী পরিবার। তাদের পরিবার এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

সজিব জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে কাদের মির্জার বিরোধী তার আপন ভাগনে ফখরুল ইসলাম রাহাত আজমেরী হোটেলের দ্বিতীয় তলায় বসে নাশতা করে। কাদের মির্জা তার বিরোধীদের আজমেরী হোটেলে নাশতা খাওয়া ও আড্ডা দেওয়ার খবর পেয়ে বেজায় ক্ষিপ্ত হন। এরপর হোটেলের বর্ধিত অংশ ভাঙার অজুহাত তুলে কাদের মির্জা দলবল নিয়ে হোটেলে এসে মালিকের সাথে প্রথমে দুর্ব্যহার করে। একপর্যায়ে কাদের মির্জা নিজে প্রথমে হোটেল মালিককে মারধর করে। এরপর তার সাথে থাকা সাঙ্গপাঙ্গরা হোটেলে মালিককে মুখে, মাথায়, বুকে হাতুড়িপেটা করে।

এ সময় হোটেলের ক্যাশিয়ার, বয় তাদেরকে মালিককে বাঁচাতে এলে তাদেরকেও বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয়। হামলাকারীরা প্রথমে হোটেলের সিসি ক্যামেরা, তারপর চেয়ার, টেবিল, ক্যাশ, ফ্রিজ,শোকেস ভাঙচুর করে এবং ক্যাশে তাকা নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়। একই সময়ে মেয়র হোটেলের মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ঘোষণা করে রোববার সকালের মধ্যে ব্যাংকে জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়।

হোটেলে হামলা ভাঙচুর ও মালিককে হাতুড়িপেটার অভিযোগ অস্বীকার করে কাদের মির্জা বলেন, এটা পৌরসভার রুটিন ওয়ার্ক। ১০ দিন আগে হোটেলের বর্ধিতাংশ ভাঙতে বলা হয়েছিল। কিন্তু হোটেল মালিক নির্দেশ না মানায় পৌরসভার পক্ষ থেকে তা ভাঙা হয়েছে।

ভাগনে ফখরুল ইসলাম রাহাত বলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রোববারের হেফাজত ইসলামের ডাকা হরতাল কর্মসূচি মোকাবেলায় জরুরি বৈঠক করে। বৈঠক শেষে প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী আজমেরী হোটলে নাস্তা করে। এ খবর পেয়ে কাদের মির্জা প্রথমে হোটেলের নিচে অবস্থান নেয়। পরে তার অনুসারীদের নিয়ে হোটেলে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের শাস্তি দাবি করছি। কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, বসুরহাট বাজরের আজমেরী হামলা ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।