প্রধান পাতা

কাপ্তাইয়ে বনে পাওয়া লাশ বোয়ালখালীর ব্যবসায়ী নজরুলের


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

কাপ্তাইয়ে ৬ মাস আগে নির্জন বনে পাওয়া অজ্ঞাত সেই লাশ কোনো মানসিক প্রতিবন্ধীর ছিল না। লাশটি বোয়ালখালীর কধুরখীলের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের। সম্প্রতি ব্যবসায়ী নজরুলের ছেলের করা অপহরণ মামলায় পিবিআইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবের ডিএনএ পরীক্ষায় এ তথ্য বের হয়ে আসে।
পরে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিবিআই ডিএনএ রিপোর্ট দাখিল করলে বিষয়টি জানা যায়। যদিও লাশ উদ্ধারের পর কাপ্তাই থানা পুলিশের বক্তব্য ছিল, লাশটি কোনো মানসিক প্রতিবন্ধীর। এদিকে ডিএনএ রিপোর্ট দাখিলের পাশাপাশি বোয়ালখালী থানার অপহরণ মামলায় হত্যা ও লাশ গুমের ধারা (৩০২/২০১) যুক্ত করতে এবং এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা দুই আসামি তৈয়ব আলী ও মিনহাজের রিমান্ড চেয়ে গত ১৩ জুন পৃথক আবেদন করে তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। পরদিন শুনানি করে আদালত দুটি আবেদনই গ্রহণ করেছেন।
চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি কাপ্তাইয়ের ফরেস্ট কলোনি সংলগ্ন সংরক্ষিত বনে গলায় ফাঁস দেওয়া একটি গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৬০ বছর উল্লেখ করে কাপ্তাই থানা পুলিশ তখন জানায়, লাশটি আনুমানিক ১০ থেকে ১২ দিন আগের হতে পারে। মুখে দাঁড়ি থাকলেও লাশের সারা শরীরে পচন ধরেছে। লাশটি শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। বন প্রহরীরা বাগানে টহল দিতে গেলে গাছে ঝুলন্ত লাশটি দেখতে পায়। তারও আগে গত বছরের ২০ ডিসেম্বর বোয়ালখালী থানায় ব্যবসায়ী নজরুলের ছেলে মিনহাজুল ইসলাম তার বাবাকে অপহরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ভিকটিম নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন দুবাই ছিলেন। সেখানে ১ নম্বর আসামি তৈয়ব আলীর পিতা মাহবুব শাহর সাথে পরিচয় হয়। মাহবুব শাহ পীর-ফকিরী কার্যক্রমের সাথে যুক্ত ছিলেন। দেশে ফিরে তিনি বাড়িতে আস্তানা তৈরি করেন।
২০১২ সালে নজরুল দেশে ফেরার পর ভক্ত হিসেবে উক্ত মাহবুব শাহর কাছে যাওয়া আসা করেন। মাহবুব শাহর মৃত্যুর পর তৈয়ব আলী খাদেম হিসেবে আবির্ভূত হন এবং পরে ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে নজরুল ইসলামের কাছ থেকে ২২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। উক্ত টাকা ফেরত চাইলেই পরিকল্পিতভাবে তার পিতাকে অপহরণ করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পরিদর্শক এনায়েত উল্লাহ আজাদীকে বলেন, মামলার তদন্তে এটুকু স্পষ্ট হয়েছে যে, ভিকটিম নজরুল ইসলামকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া জড়িতরা লাশ গুমের চেষ্টাও করেছে। কিভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে এমন প্রশ্নে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ফরেনসিক রিপোর্ট এখনো হাতে পাননি। পেলে এ বিষয়ে জানাতে পারবেন।
বাদীর আইনজীবী মো. এনাম বলেন, পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় ভিকটিম নজরুল ইসলামকে অপহরণ করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অথচ লাশ উদ্ধার পরবর্তী কাপ্তাই থানা পুলিশ নজরুল ইসলামকে মানসিক প্রতিবন্ধী বলেছে। তৈয়বদের প্রভাবের কারণে কাপ্তাই থানা পুলিশ এমন বক্তব্য দিয়েছিল।