জাতীয়

কাবুলে ১৫ বাংলাদেশি অক্ষত, ফিরে গেছেন আবাসস্থলে


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় সেখানে আটকে থাকা ১৫ বাংলাদেশি অক্ষত আছেন। সুস্থ আছেন। এ ঘটনার পর তারা বিমানবন্দর এলাকা থেকে যে যার আবাসস্থলে চলে গেছেন। তাদের সঙ্গে চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ১৬০ জন আফগান শিক্ষার্থীও নিজ নিজ আবাসে ফিরে গেছেন।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার ব্যবস্থাপনায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে গতকাল (২৬ আগস্ট) বৃহস্পতিবার ১৫ বাংলাদেশির দেশে আসার কথা ছিল। তাদের সঙ্গে চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ১৬০ জন আফগান শিক্ষার্থীরও বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। গত বুধবার দুপুর থেকে তারা কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যায় কাবুলে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে ভয়াবহ জোড়া বিস্ফোরণের পর রাতে তারা নিজ নিজ আবাসস্থলে ফিরে যান।

কাবুলের স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে বিমানবন্দরের আবে গেটের অদূরে প্রথম বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটে কিছুটা দূরে ব্যারন হোটেলের কাছে। হামলায় অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি। হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে মার্কিন সেনা ও বেসামরিক আফগান নারী-শিশু রয়েছে।

১৫ বাংলাদেশির একজন রাজীব বিন ইসলাম। তিনি বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২টায় একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বুধবার বেলা দুইটা থেকে আমরা বিমানবন্দরে প্রবেশের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। আমরা বিমানবন্দরের গেটের বাইরে ছিলাম। সন্ধ্যার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে আমরা সবাই সুস্থ আছি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা বাংলাদেশিরা গত রাতে যে যার আবাসস্থলে চলে গেছি।’

রাজীব বিন ইসলাম আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর ওয়্যারলেসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তারা আবার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। কর্তৃপক্ষ পরবর্তী সময়ে যখন তাদের বিমানবন্দরে আসতে বলবে, তখন তারা আসবেন।

তবে আটকে পড়া এই বাংলাদেশিদের দেশে ফেরানোর বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। সেখানকার পরিস্থিতি এখনো ঘোলাটে।

অন্যদিকে চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ১৬০ শিক্ষার্থী আফগানিস্তানে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। তালেবান দেশটির ক্ষমতা দখলের পর তারা আটকে পড়েন।