Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )
খুলনা পিটিআই কোয়ারেন্টিন সেন্টারে ধর্ষণের শিকার সেই তরুণী (২৩) আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। এতে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকা অন্য নারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং তাকে নিবৃত্ত করেন।
খুলনার ডিসি মোহাম্মদ হেলাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার রাতে ওই তরুণী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ব্যাপারটি জানতে পেরে দ্রুত গিয়ে কোয়ারেন্টিনে থাকা অন্যরা তাকে রক্ষা করেন।
খুলনা শহরের বাসিন্দা ওই নারী গত ৪ মে ভারত থেকে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসেন। এর পর তাকে খুলনা পিটিআই সেন্টারে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।
গত ১৩ ও ১৫ মে রাতে তাকে দুই দফা ধর্ষণের অভিযোগে মোখলেছুর রহমান নামে এক এএসআইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।
ডিসি বলেন, মঙ্গলবার কোয়ারেন্টিনে ওই নারীর ১৪তম দিন ছিল। রাতে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তার তদারকের জন্য নারী পুলিশ সদস্য নিযুক্ত করা হয়। মঙ্গলবার ১৪তম দিনে তার কোভিড-১৯ পরীক্ষা হয়েছে। ফল নেগেটিভ হলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
এদিকে ওই নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাড়িতে থাকা দুই শিশুসন্তানের জন্য তার মন ছুটে গেছে। এ ছাড়া কোয়ারেন্টিনে ১৪ দিনের জায়গায় তাকে আরও দুই দিন ধরে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ আনেন তিনি। এ ছাড়া কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকা অবস্থায় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি। এসব কারণে তার মন বিষাদে ভরে গেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ডাক্তারি পরীক্ষার পর মঙ্গলবার বিকালে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ওই তরুণীকে পিটিআই কোয়ারেন্টিন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই তরুণী সেখান থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান। কিন্তু কাগজপত্র অনুযায়ী কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ ১৪ দিন সম্পন্ন না হওয়ায় কেউ রাজি হননি। এর পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে তিনি ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন। এ ঘটনা টের পেয়ে ওই সেন্টারে থাকা অন্য নারীরা তাকে রক্ষা করেন। ঘটনার পর মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেন্টারটি পরিদর্শন করেছেন।
তবে ওই তরুণী বুধবার বিকালে বলেন, এমনিতেই আমার মান-সম্মান আর নেই। সন্ধ্যার মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে আমাকে ছাড়তে বলেন। সকাল থেকে আমাকে নিতে ফুপু এসে বসে আছেন। অন্যথায় মঙ্গলবার হুমকি দিয়েছিলাম, আজ সত্যি সত্যি আত্মহত্যা করব। তখন আপনাদের (সাংবাদিক) আবার দৌড়াদৌড়ি করতে হবে।