পাল্লেকেলে টেস্টে ৯ উইকেটে ১৯৪ রান তুলে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা। ফলে বাংলাদেশের সামনে ৪৩৭ রানের বড় লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এতো বড় রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই কারো। ২০০৩ সালে সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এ ছাড়াও ৪০০ রানের উপরে তাড়া করে জয় পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও অস্ট্রেলিয়া।
এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। তিনি ব্যক্তিগত ৬৬ রানে পার্টটাইমার সাইফ হাসানের বলে সেই শর্ট লেগে ক্যাচ দেন ইয়াসিরের হাতে। দারুণ খেলতে থাকা ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিজের শিকার বানিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই স্পিনারের আউট সাইড অফ স্টাম্পের বল জায়গা করে নিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ডি সিলভা। তবে বল ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের ঊরু ছুঁয়ে চলে যায় স্লিপে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। মধ্যাহ্নভোজের আগে বাংলাদেশকে আরেকবার উৎসবের উপলক্ষ্য এনে দিয়েছেন তাইজুল। এই বাঁহাতি স্পিনারের বল মিড অনের উপর দিয়ে মারতে গিয়ে শরিফুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন ২৪ রান করা পাথুম নিশাঙ্কা। এরপর নিরোশান ডিকওয়েলা বাকি সময়টা সামাল দেন রামেশ মেন্ডিসকে নিয়ে। ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান নিয়ে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যায় শ্রীলঙ্কা।
বিরতি থেকে ফিরেই ডিকওয়েলার উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে তাইজুলের তালুবন্দি হয়ে আউট হন ২৪ রান করা এই লঙ্কান উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এরপর শ্রীলঙ্কার ইনিংসে ভাঙন ধরিয়েছেন তাইজুল। ২৪ রান করা মেন্ডিস ও ১২ রান করা সুরাঙ্গা লাকমলকে নিজের চতুর্থ ও পঞ্চম শিকার বানান বাংলাদেশের এই বাঁহাতি স্পিনার। মেন্ডিস তাইজুলের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে পয়েন্টে তামিমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন আর লাকমল হয়েছেন বোল্ড।