প্রধান পাতা

গঙ্গায় পাওয়া লাশের মধ্যে ‘আছে কোভিডে মৃতদের দেহও’


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় কয়েকটি নদীতে পাওয়া মৃতদেহগুলোর মধ্যে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া লাশও আছে বলে স্বীকার করে নিয়েছে দেশটির একটি রাজ্য সরকার।

চিঠিটি দেখার কথা জানিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, শুক্রবার উত্তর প্রদেশের জেলাপ্রধানদের উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠিতে এই স্বীকারোক্তি উঠে এসেছে; চিঠিতে দারিদ্র্য এবং গ্রামে গ্রামে রোগ ছড়িয়ে পড়ার ভয় থেকে নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেওয়ার এ কাণ্ড হতে পারে বলে ধারণাও দেওয়া হয়েছে।

হিন্দুদের কাছে পবিত্র বলে পরিচিত গঙ্গা নদীতে লাশ ভেসে যাওয়ার ছবি সংক্রমণের ভয়াবহ ঊর্ধ্বগতি মোকাবেলায় খাবি খাওয়া ভারতের অনেককেই স্তম্ভিত করেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে নদীতে পাওয়া বহু সংখ্যক লাশের সঙ্গে গণমাধ্যম মহামারীর যোগসাজশ দাঁড় করালেও ২৪ কোটি লোকের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তর প্রদেশ এখন পর্যন্ত লাশগুলোর মৃত্যুর কারণ জনসমক্ষে প্রকাশ করেনি।

“প্রশাসনের কাছে তথ্য আছে যে কোভিড-১৯ বা অন্য রোগে মৃতদের লাশ যথাযথ রীতি মেনে সৎকার না করে নদীতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। যে কারণে, অনেক জায়গায় নদী থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করতে হচ্ছে,” শুক্রবারের চিঠিতে এমনটাই বলেছেন উত্তর প্রদেশ রাজ্যের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মনোজ কুমার সিং।

তিনি রয়টার্সকে চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করলেও বলেছেন, উত্তর প্রদেশের গাজিপুরে চার থেকে পাঁচটি লাশের ময়নাতদন্তে ভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়ে জানা যায়নি।

ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় কয়েকটি নদীতে পাওয়া মৃতদেহগুলোর মধ্যে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া লাশও আছে বলে স্বীকার করে নিয়েছে দেশটির একটি রাজ্য সরকার।

চিঠিটি দেখার কথা জানিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, শুক্রবার উত্তর প্রদেশের জেলাপ্রধানদের উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠিতে এই স্বীকারোক্তি উঠে এসেছে; চিঠিতে দারিদ্র্য এবং গ্রামে গ্রামে রোগ ছড়িয়ে পড়ার ভয় থেকে নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেওয়ার এ কাণ্ড হতে পারে বলে ধারণাও দেওয়া হয়েছে।

হিন্দুদের কাছে পবিত্র বলে পরিচিত গঙ্গা নদীতে লাশ ভেসে যাওয়ার ছবি সংক্রমণের ভয়াবহ ঊর্ধ্বগতি মোকাবেলায় খাবি খাওয়া ভারতের অনেককেই স্তম্ভিত করেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে নদীতে পাওয়া বহু সংখ্যক লাশের সঙ্গে গণমাধ্যম মহামারীর যোগসাজশ দাঁড় করালেও ২৪ কোটি লোকের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তর প্রদেশ এখন পর্যন্ত লাশগুলোর মৃত্যুর কারণ জনসমক্ষে প্রকাশ করেনি।

“প্রশাসনের কাছে তথ্য আছে যে কোভিড-১৯ বা অন্য রোগে মৃতদের লাশ যথাযথ রীতি মেনে সৎকার না করে নদীতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। যে কারণে, অনেক জায়গায় নদী থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করতে হচ্ছে,” শুক্রবারের চিঠিতে এমনটাই বলেছেন উত্তর প্রদেশ রাজ্যের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মনোজ কুমার সিং।

তিনি রয়টার্সকে চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করলেও বলেছেন, উত্তর প্রদেশের গাজিপুরে চার থেকে পাঁচটি লাশের ময়নাতদন্তে ভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়ে জানা যায়নি।

“মৃতদেহগুলো পচে যাচ্ছে, এই অবস্থায় সেগুলোতে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যাবে কিনা, আমি নিশ্চিত নই,” লিখিত এক বার্তায় এমনটাই বলেছেন তিনি।

শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গ্রামাঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করতে এবং সেখানে ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে নজরদারি বাড়াতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

ভারতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ যেসব রাজ্যে ভয়াবহ আঘাত হেনেছে তার মধ্যে উত্তর প্রদেশ অন্যতম। ব্রাজিল বা পাকিস্তানের চেয়ে বেশি মানুষ এ রাজ্যে বসবাস করে।

গ্রামেই রাজ্যটির বেশিরভাগ বাসিন্দার বাস। এ গ্রামগুলোর আক্রান্ত অনেকে এখনও পরীক্ষার আওতার বাইরে আছেন বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

সরকারি ওই নথিতে সিং বলেছেন, দাহ করার কাঠের মতো শেষকৃত্যের উপকরণ সংগ্রহে অর্থের অভাব এবং রোগটি নিয়ে আতঙ্ক থেকে পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহগুলো পরিত্যাগ করায় নদীতে ‘ডাম্প’ করার পরিমাণ বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

তিনি গ্রাম পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কোনো মৃতদেহই যেন নদীতে ফেলা না হয় তা নিশ্চিত করতে বলেছেন; মৃতদেহ দাহ করতে বা কবর দিতে রাজ্য সরকার দরিদ্র প্রতিটি পরিবারকে পাঁচ হাজার রুপি করে দেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

লাশ ফেলা বন্ধে পুলিশকে নদীগুলোতে টহল দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।

সম্প্রতি উত্তর প্রদেশ ও বিহারে নদী থেকে প্রায় দুই হাজারের মতো ‘সম্ভাব্য কোভিড আক্রান্তের’ মৃতদেহ মিলেছে বলে কয়েকটি গণমাধ্যম দাবি করলেও শনিবার তা উড়িয়ে দেন উত্তর প্রদেশ সরকারের মুখপাত্র নবনীত সেহগল।

ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে বছরের কোনো কোনো সময়ে নদী তীরবর্তী অনেক গ্রামের বাসিন্দারা মৃতদেহ দাহ করে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বিহারের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।