চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে হচ্ছে কার্গো ভিলেজ


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

ঢাকা শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরের উপর একক নির্ভরতা কমাতে চট্টগ্রামেও কার্গো ভিলেজ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শুধু চট্টগ্রাম নয়, সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়েও রপ্তানিসুবিধা চালু করতে সেখানে কার্গো ভিলেজ নির্মাণে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দেশের এ দুই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে কার্গো ভিলেজ সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে পণ্য রপ্তানি সহজীকরণের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হবে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে সঠিক সময়ের মধ্যেই ক্রেতাদের পণ্য হাতে পৌঁছানো সম্ভব হবে। তাই দ্রুত পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ সংশ্লিষ্টদের। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে চট্টগ্রাম ও সিলেটের এ দুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজ তৈরির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এজন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এদিকে, কার্গো ভিলেজ স্থাপন করতে যে পরিমাণ জায়গার প্রয়োজন, তা চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেই। এজন্য আরও বাড়তি জমি অধিগ্রহণ করতে হতে পারে বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্র। একই সঙ্গে কার্গো ভিলেজ তৈরি করতে হলে কমপক্ষে দুটি এক্সপোসিভ ডিটেকশন স্ক্যানার (ইডিএস) প্রয়োজন হবে। যদিও এ বিষয়টি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
চট্টগ্রামের রপ্তানিকারকরা বলছেন, বর্তমানে পণ্য রপ্তানি করতে ঢাকায় নেয়ার কারণে বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে তাদের। পাশাপাশি ঢাকায় পৌঁছাতে বাড়তি সময় লাগায় এবং বিমানবন্দরটিতে পণ্যজটের কারণে ক্রয়াদেশ বাতিল হচ্ছে। তবে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজ স্থাপন হলে পোশাক শিল্প ও কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানি আরও সহজ হয়ে ওঠবে।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের সবকটি স্ক্যানার নষ্ট হয়ে পড়ে। এতে দীর্ঘ পণ্যজট শুরু হয়। পরে রপ্তানিকারকদের চাপের মুখে দুটি স্ক্যানার চালু করা হয়। সর্বশেষ পণ্যজটের দীর্ঘ এ সমস্যা সমাধাণের জন্য সাত সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করে মন্ত্রণালয়। কমিটি তাদের প্রতিবেদনে ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও সিলেটে আরও দুটি কার্গো ভিলেজ তৈরির প্রস্তাব দেন।
চট্টগ্রামের কার্গো ভিলেজ তৈরি উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক ও বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ বলেন, ‘চট্টগ্রাম হচ্ছে বিজনেস হাব। একইসঙ্গে রপ্তানি এখানে কার্গো ভিলেজের প্রয়োজনীতার কথা দীর্ঘদিন ধরে আমরা বলে আসছিলাম। এখান থেকে মধ্যপ্রাচ্যসহ কমবেশ সব দেশেই পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। যেহেতু সরকার উদ্যোগ নিয়েছেন, আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন হলে ব্যবসায়ীদের জন্য মঙ্গল হবে।’