চলন্ত বাসে তরুণীকে গণধর্ষণ: আসামিদের আদালতে প্রেরণ

বোনের বাড়ি থেকে নিজ বাসায় ফেরার পথে চলন্ত বাসে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। শনিবার (২৯ মে) দুপুর পৌনে ১টার দিকে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

এর আগে শুক্রবার (২৮ মে) রাত ১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ডেইরিগেট সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ঢাকার তুরাগ থানার গুলবাগ ইন্দ্রপুর ভাসমান গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আরিয়ান (১৮), কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার তারাগুনা এলাকার মৃত আতিয়ারের ছেলে সাজু (২০), বগুড়ার ধুনট থানার খাটিয়ামারি এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে সুমন (২৪), নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার ধামঘর এলাকার জহুর উদ্দিনের ছেলে মনোয়ার (২৪), বগুড়ার ধুনট থানার খাটিয়ামারি এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সোহাগ (২৫) এবং বগুড়ার ধুপচাঁচিয়া থানার জিয়ানগর গ্রামের সামছুলের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০)। তারা সবাই তুরাগ থানার কামারপাড়া ভাসমান এলাকায় ভাড়া থেকে আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল-নবীনগর মহাসড়কে মিনিবাস চালাতেন।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ঢাকা উত্তর) আব্দুল্লাহ হিল কাফি জানান, ভুক্তভোগী বোনের বাসা মানিকগঞ্জ থেকে ফেরার পথে আশুলিয়ার নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে নেমে নিউ গ্রামবাংলা মিনিবাসে উঠেন। রাত ৯টার দিকে নিউগ্রাম বাংলা মিনিবাসের হেলপার মনোয়ার ও সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম এসে টঙ্গী স্টেশন রোডের কথা বলে ৩৫ টাকা ভাড়া চায়। পরে সঙ্গে একজনকে নিয়ে মিনিবাসে উঠলে গন্তব্যে যাওয়ার আগেই যাত্রীদের নামিয়ে দেয়।

তারা ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক বাসে করে নবীনগর নিয়ে আসে। এ সময় বাসের জানালা-দরজা বন্ধ করে ভুক্তভোগী তরুণীকে দলবেধে ধর্ষণ করে বাসের চালক, হেলপারসহ ৬ জন। ভুক্তভোগীর সঙ্গে থাকা ব্যক্তির চিৎকারে টহল পুলিশ বিষয়টি বুঝতে পেরে বাস থামায়। পরে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে ছয়জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। দুপুর পৌনে ১টার দিকে তাদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম বলেন, রাতেই অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে ভুক্তভোগী তরুণীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।