জাতীয়

চার সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনের করণীয় নিয়ে বসছে ইসি


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

আটকে থাকা চার সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনের করণীয় নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় লক্ষ্মীপুর-২, সিলেট-৩, ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের করণীয় পদক্ষেপ নিয়ে ভাবছে নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক সংস্থাটি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এই বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, লক্ষ্মীপুর-২, সিলেট-৩, ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ আসনের উপ- নির্বাচন করতে হবে সামনে। আসন শূন্য ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব না হলে পরবর্তী ৯০ দিনের উপ-নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

“করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্বাচনগুলো আটকে আছে। মঙ্গলবার কমিশনের বৈঠক রয়েছে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে উপ-নির্বাচনগুলো কবে নাগাদ করা সম্ভব হবে তা নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন “

তিনি জানান, আসন শূন্য ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ নির্বাচন ২৭ এপ্রিলের মধ্যে এবং সিলেট-৩ উপ নির্বাচন ৮ জুনের মধ্যে করা সম্ভব হবে না বলে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।পরবর্তী ৯০ দিনে এ নির্বাচন করতেই হবে।

মহামারী ও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার পরিস্থিতিতে সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনগুলো জুলাইয়ে শুরুর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

কুয়েতের আদালতে দণ্ডিত সংসদ সদস্য কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলের লক্ষ্মীপুর-২ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয় ২৮ জানুয়ারি।

১১ এপ্রিল এই উপ-নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। করোনাভাইরাস সংক্রমণের উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকায় নির্বাচনটি স্থগিত করা হয়।

এখন এই নির্বাচন ২১ জুলাইয়ের মধ্যে করতে হবে।

সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের ৪ দফায় বলা হয়েছে, সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হলে তার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। তবে নির্বাচন কমিশনারের মতে কোনো দৈব-দূর্বিপাকের কারণে এই নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব না হলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ভোট করতে হবে।

গেল ১১ মার্চ সিলেট-৩ আসনের মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে; ৪ এপ্রিল ঢাকা-১৪ এর আসলামুল হকের মৃত্যুতে এবং ১৪ এপ্রিল কুমিল্লা-৫ এর আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে তিনটি আসন শূণ্য ঘোষণা করা হয়।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর গত বছর সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে পরবর্তী ৯০ দিনে করে ইসি।

স্থানীয় সরকারের ভোটও স্থগিত রেখেছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর নভেম্বর থেকে ভোট শুরু হয়।

গত ৩০ নভেম্বরের পর থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত সংক্রমণ ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে।

মহামারীর এক বছর পার হতেই ফের সংক্রমণ বাড়ায় নতুন করে সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এপ্রিল থেকে আবার ভোট স্থগিত রাখা হয়।