প্রধান পাতা

ছাত্রলীগকর্মীর সাইবার বুলিংয়ের শিকার ইবির ৭৩ ছাত্রী!


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

ক্রাশ অ্যান্ড কনফিউশন’ নামের একটি পেজ থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ ছাত্রী সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী।সূত্র মতে, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ওই পেজে আপত্তিকর ক্যাপশন জুড়ে ৭৩ ছাত্রীর ছবি প্রকাশ করা হয়। ক্যাপশনে লেখা ছিল ‘ইবি কাঁপানো সকল সুন্দরী একসাথে, ইমো নাম্বার পেতে লাভ রিয়েক্ট দিয়ে সঙ্গেই থাকুন।’ 
পরে মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টটি ভাইরাল হয়। পরে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে রাত ১২টার দিকে পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়। একইসাথে দুঃখ প্রকাশ করে পুনরায় পোস্ট করা হয়। 
জানা গেছে, পেজের ক্রিয়েটর এবং এডমিন ইবির অর্থনীতি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগকর্মী মিজান বিশ্বাস। এছাড়াও তিনি স্থানীয় খোকসা উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য। তার এই কর্মকাণ্ডে বিব্রত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও।
ভুক্তভোগী এক ছাত্রী অভিযোগ করেন, ঘুম থেকে উঠেই আমার ছবি-সহ ৭০/৮০ জন মেয়ের ছবি ব্যবহার করে একটি পেজে অশ্লীল ঈঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দেখে হতবাক হয়ে গেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পেজগুলোকে আমরা পরিবার ভাবি। সেখানেও আমাদের নিরাপত্তা না থাকলে আর কোথায় থাকবে? প্রশাসন আগে ঘটে যাওয়া হয়রানির ঘটনার বিচার করেনি। এ জন্য এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।
পেজটির অ্যাডমিন মিজান বিশ্বাস বলেন, অনেকদিন পেজে কিছু পোস্ট করা হয় না। তাই আমি মজা করে ওই পোস্টটি করেছিলাম। কিন্তু আমার কোন অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না। বিষয়টি এতদূর গড়াবে আমি বুঝতে পারিনি। সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ভিসি স্যারকে জানিয়েছি। তিনি আইটি সেলে একটি নোট পাঠাতে বলেছেন, আমরা অলরেডি পাঠিয়েছি। আইডিগুলো শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগেও একাধিকবার সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন ইবির ছাত্রীরা। গত ১১ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগ ওঠে। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হুমকির শিকার হলে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এ ঘটনা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রশাসন কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।