জাতীয়

জামাইকে হত্যা করে লাশ বাড়ি পাঠালেন শ্বশুর


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মেয়ের জামাইকে তুলে নেওয়ার ৩ঘন্টা পর হত্যা করে লাশ ছেলের বাড়িতে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরের বিরুদ্ধে। তবে তাৎক্ষণিক পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি।

শনিবার (১২ মার্চ) বিকেলের দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে একই দিন রাত ১০টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

নিহত যুবকের নাম মো: মোবারক হোসেন শাওন (১৮)। সে উপজেলার ১৪নং হাজীপুর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপুর গ্রামের চিরাম বাড়ির শাহাব উদ্দিনের ছেলে।

নিহতের চাচাতো ভাই মাস্টার সিরাজুল ইসলাম জানান, শাওন উপজেলার চৌমুহনী বাজারের হকার্স মার্কেটের তাহেরা ট্রেডার্সের মালিক হাজী আব্দুল মালেকের দোকানে প্রায় ২ বছর যাবত চাকরি করে। দুই মাস আগে আমরা জানতে পারি শাওনের সাথে আব্দুল মালেক তার পালক মেয়েকে বিয়ে দেন। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে শাওনের শ্বশুর তার বাড়িতে এসে তাকে খোঁজ করতে থাকে। শাওন গোসল করে ঘরে এলে তার শ্বশুর তাকে সুন্দর দেখে পাঞ্জাবি ও লুঙ্গি পরার কথা বলে। শাওনকে নিয়ে যাওয়ার সময় আব্দুল মালেক শাওনকে তার মায়ের কাছে থেকে সালাম দিতে, দোয়া নিতে ও মাফ চাইতে বলে।

তিনি আরও জানান, রাতে শাওনের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এসময় শাওনের স্ত্রীর সামনে শাওনকে তার শ্বশুরের মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে।

নিহতের মা শামসুন্নাহার অভিযোগ করেন, দুপুরের দিকে মতিন আমার ছেলে তুলে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার দিকে আমি ঘরে একা ছিলাম। ওই সময় মতিনের দোকানের দুইজন কর্মচারি কৌশলে আমার ছেলের মরদেহ ঘরে দিয়ে দ্রুত চলে যায়।

তিনি আরও বলেন, মতিন গোপনে তার পালক মেয়েকে আমার ছেলের কাছে বিয়ে দেয়। সে আমার ছেলেকে আমাদের কাছে আসতে দিতনা। আসলে সাথে সাথে লোক পাঠিয়ে, না হয় সে এসে নিয়ে যেত। আমার ছেলে এ সব বিষয়ে কখনো আমার কাছে মুখ খুলতো না। আমার ছেলে কোরআনে হাফেজ ছিল। মনে হয় এ জন্য সে আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক বলেন, খবর পেয়ে নিহতের বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় এনে রাখা হয়েছে। এর আগে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করা হয়। শরীরে বড় কোন আঘাতের চিহৃ নেই। প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ দুপুরে শ্বশুর তাকে নিয়ে যায়। এরপর হত্যা করে সন্ধ্যায় লাশ পাঠিয়ে দেয়।